এ বার হিংসা ছড়াচ্ছে মণিপুরের নাগা এলাকায়। —ফাইল চিত্র।
দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠী বনাম খ্রিস্টান কুকি জনজাতির হিংসায় উত্তাল মণিপুর। এ বার সেখানে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেল। কুকিদের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তুলল আর এক খ্রিস্টান জনজাতি গোষ্ঠী নাগারা! সেনাপতি জেলার গমগিফাইয়ে নাগা ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের উপর কুকিরা রবিবার রাত থেকে দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল।
মণিপুরের পাহাড়ি জেলাগুলির মধ্যে সেনাপতি এবং উখরুলে নাগাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। গত দেড় বছরের মেইতেই-কুকি সংঘর্ষের সময় নাগা প্রভাবিত এলাকাগুলিতে হিংসার প্রকোপ ছিল তুলনামূলক কম। মেইতেইদের সশস্ত্র বাহিনী নাগা চার্চেও কোনও হামলা চালায়নি। কিন্তু সেনাপতি ডিস্ট্রিক্ট স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, মাও স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, পিএনডিএমের মতো নাগা সংগঠনগুলি কুকি হামলার প্রতিবাদে পথে নামায় নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা করছে পুলিশ-প্রশাসন।
২০২৩ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। ২৭ মার্চ মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয়েছিল সেখানে। দেড় বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যে অশান্তি থামেনি। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।