—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া-সহ বিভিন্ন পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের। ২৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ছুটির আবহে রাজ্যের ১২টি জেলার ৪১টি পুরসভায় নাচ-গান-পথনাটিকার মাধ্যমে প্রচার শুরু হয়েছে। দফতরের অধীনস্থ রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থা (সুডা) এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নির্দেশিকা জারি করেছে। এই উদ্যোগের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ে ডেঙ্গি বিজয় অভিযান’। জনসমাগমপূর্ণ স্থান, যেমন বাজার, মেলা, উৎসব প্রাঙ্গণে পথনাটিকার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সুডার নির্দেশ অনুসারে, পথনাটিকার স্থান ও সময় নির্ধারণ করে প্রতিটি পুরসভাকে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
পথনাটিকার সময় সেখানে একটি ব্যানার রাখা বাধ্যতামূলক। দর্শকদের জন্য বিশেষ একটি চার পাতার ‘ফিডব্যাক ফর্ম’ বিলি করতে হবে। এই ফর্মে দর্শকদের কাছ থেকে নাটক সম্পর্কে মতামত চাওয়া হবে, যেমন নাটকটি কতটা তথ্যবহুল এবং বোধগম্য হয়েছে। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট পরিবেশনা দলের উপস্থাপনা কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়েও দর্শকদের মতামত নেওয়া হবে। প্রতিটি পরিবেশনার জন্য নাট্যদলগুলি চার হাজার টাকা পাবে। এক দিনে সর্বাধিক তিনটি পরিবেশনা করার অনুমতি রয়েছে। এর পাশাপাশি, যাতায়াতের জন্য প্রতিটি দলকে দৈনিক এক হাজার টাকা দেওয়া হবে। সুডার নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পৌষমেলা, ক্রিসমাস কার্নিভাল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই ধরনের জনবহুল স্থানে পথনাটিকার আয়োজন করতে বলা হয়েছে। এতে জনসচেতনতার উদ্যোগ কার্যকরী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিটি পুরসভায় এক জন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হবে, যাঁরা পথনাটিকা পরিচালনার তদারকি করবেন। পরিবেশনা কোথায় এবং কবে হচ্ছে, কারা অংশ নিচ্ছেন, তার সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করা এই অফিসারদের দায়িত্ব। এই কর্মসূচি আপাতত ১২টি জেলার ৪১টি পুর এলাকায় সীমাবদ্ধ হলেও পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের অন্য পুরসভাগুলিতেও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। সুডা সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্যক্রমের সাফল্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে এটি আরও বিস্তৃত ভাবে পরিচালিত হবে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এই পদক্ষেপ জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।