Swine flu

পশ্চিমঘাট পর্বতের জঙ্গলে শতাধিক বুনো শুয়োরের মৃত্যু! আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুয়ের আশঙ্কা

ঘটনার জেরে এলাকার বনকর্মী এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে সোয়াইন ফ্লুর আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও চিকিৎসকদের একাংশের মতে শুয়োরের সঙ্গে সোয়াইন ফ্লুয়ের প্রত্যক্ষ কোনও যোগ নেই।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
কোয়ম্বত্তূর শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:২০
তামিলনাড়ু ও কর্নাটকের জঙ্গলে শতাধিক বুনো শুয়োরের মৃত্যু! আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুয়ের আশঙ্কা।

তামিলনাড়ু ও কর্নাটকের জঙ্গলে শতাধিক বুনো শুয়োরের মৃত্যু! আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুয়ের আশঙ্কা। ফাইল চিত্র।

কর্নাটকের বন্দিপুর ব্যাঘ্র প্রকল্পের পরে এ বার তামিলনাড়ুর মুডুমালাই জাতীয় উদ্যান। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দক্ষিণ ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালায়, দুই লাগোয়া অরণ্যে শতাধিক বুনো শুয়োরের মৃত্যুর জেরে সোয়াইন ফ্লুয়ের আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ডিসেম্বরে বন্দিপুর অরণ্যের অন্তত ১০০ বুনো শুয়োরের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত মুডুমালাইয়ের জঙ্গলে ২০টি শুয়োর অজানা রোগে মারা পড়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুয়ের কারণেই এই মৃত্যু।

Advertisement

তামিলনাড়ু বনবিভাগের তরফে মৃত্যুর কারণ জানতে থেপ্পাকাড়ু এলাকা থেকে মৃত বুনো শুয়োরগুলির দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার জেরে এলাকার বনকর্মী এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে সোয়াইন ফ্লুয়ের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও চিকিৎসকদের একাংশের মতে শুয়োরের সঙ্গে সোয়াইন ফ্লুয়ের প্রত্যক্ষ কোনও যোগ নেই।

তাঁরা জানাচ্ছেন, এক সময় শুয়োরের শ্বাসযন্ত্রে রোগটির জন্ম হয়েছিল। পরে মানুষ, শুয়োর ও পাখির ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস একসঙ্গে মিশে নতুন ভাইরাসের জন্ম দেয়। সেটাই মানুষের দেহে ছড়ানো সোয়াইন ফ্লুর কারণ। এখন এটি আর শুয়োরের থেকে ছড়ায় না। মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। ফলে শুয়োর ধরে বা মেরে কোনও সুরাহা হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement