রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর এবং গোর্শকভের কমান্ডার ইগর ক্রোখমলের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে পুতিন। ছবি: রয়টার্স।
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগসম্পন্ন) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত নয়া যুদ্ধজাহাজ রুশ নৌসেনার হাতে তুলে দিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর উপস্থিতিতে ‘অ্যাডমিরাল গোর্শকভ’ নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ফ্রিগেট নৌসেনার হাতে তুলে দেন পুতিন। পুতিন এবং সের্গেই অ্যাডমিরাল গোর্শকভের কমান্ডার ইগর ক্রোখমলের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সও করেন।
রুশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, কৃষ্ণসাগরের উপকূলবর্তী ইউক্রেনের শহর খেরসন, ওডেসা এবং মারিউপোলের উপর চাপ বাড়াতে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হবে নয়া হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত ফ্রিগেটকে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের ঘোষণার পর, বিমান হানার পাশাপাশি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল মস্কো। এর পর বেলারুশ, ডনবাস (ইউক্রেনের ডেনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) দিয়ে অভিযান শুরু করে রুশ আর্মাড (ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি সজ্জিত) এবং আর্টিলারি ডিভিশনগুলি।
প্রাথমিক ভাবে শহরগুলিতে দূর থেকে হামলা চালাতে ৫৫০ কিলোমিটার পাল্লার ‘টস-১’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রুশ বাহিনী। টি-৭২ ট্যাঙ্কের উপর বসানো এই ‘মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম’ (এমএলআরএস)-এর ধ্বংস করার ক্ষমতা মারাত্মক। কিন্তু শহরের রাস্তায় মুখোমুখি লড়াইয়ে তা কার্যকর নয়। এই পরিস্থিতিতে এখন ‘বিএম-২১ গ্রাড’-এর উপর নির্ভর করছে পুতিন বাহিনী।