Moidams of Assam

বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় এ বার ঠাঁই পাচ্ছে ‘অসমের পিরামিড’ মৈদাম, সিদ্ধান্ত ইউনেস্কোর অধিবেশনে

আহোম রাজত্বে স্বর্গদেও বা রাজাদের মৃত্যু হলে মিশরের পিরামিডের ধাঁচে তাঁদের প্রিয় জিনিসপত্র-সহ মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হত। তাই মৈদাম নামে পরিচিত এই সমাধিগুলিকে ‘অসমের পিরামিড’ বলা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪ ১২:৫১
অসমের মৈদাম।

অসমের মৈদাম। — ফাইল চিত্র।

ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট)-এর তালিকায় এ বার ঠাঁই পেল উত্তর-পূর্ব ভারত। অসমের চরাইদেও এলাকার মৈদাম সমাধিক্ষেত্রগুলিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ হিসাবে শুক্রবার ঘোষণা করেছে ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী এই পদক্ষেপের জন্য ইউনেস্কোকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এই দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’’ প্রসঙ্গত, ‘অসমের পিরামিড’ নামে পরিচিত মৈদাম সমাধিক্ষেত্রকে গত বছর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’র ৪৬তম অধিবেশনে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

আহোম রাজত্বে স্বর্গদেও বা রাজাদের মৃত্যু হলে মিশরের পিরামিডের ধাঁচে তাঁদের প্রিয় জিনিসপত্র-সহ মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হত। সমাধির উপরে তৈরি হত পাথর-মাটির গম্বুজাকৃতি ঢিপি। ভিতরে ঢোকার সুড়ঙ্গের মতো প্রবেশপথ থাকত। এগুলিকে বলা হত মৈদাম। ১৩-১৯ শতক পর্যন্ত চলা আহোম রাজত্বের ৩৮৬টি মৈদাম এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে। তার মধ্যে ৯০টির রক্ষণাবেক্ষণ চলছে। বর্তমানে চরাইদেওয়ে থাকা মৈদামগুলি পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষেণ ও রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব দফতর দেখভাল করছে। ২০১৪ সালে মৈদামগুলি ইউনেস্কো হেরিটেজ ক্ষেত্রের তালিকায় ঢোকানোর চেষ্টা শুরু করেছিল অসমের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। শেষ পর্যন্ত এক দশক পরে ফলপ্রসূ হল সেই উদ্যোগ।

Advertisement
আরও পড়ুন