মেয়র পদে আপ প্রার্থী শেলি এবং বিজেপি প্রার্থী রেখা। ফাইল চিত্র।
দিল্লির পুর আইন বলছে, মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে ‘দলত্যাগ বিরোধী আইন’ কার্যকরী নয়। আর সেই ‘অঙ্কে’ ভর করেই কাউন্সিলর সংখ্যার হিসাবে অনেক পিছিয়ে থেকেও মেয়র ভোটে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের এই কৌশল কাজে লাগে কি না, তা বোঝা যাবে শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই।
মেয়র নির্বাচন ঘিরে দুপুর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে পুরসভায়। আপ এবং বিজেপি কাউন্সিলরদের হাতাহাতিতে বেশ কয়েক জনের চোট লেগেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর।
২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে মেয়র পদে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন। ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরভোটে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতে সেই ‘ম্যাজিক ফিগার’ ছুঁয়ে ফেলেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেমে আসে ১০৪-এ। ৯টি ওয়ার্ডে জেতেন কংগ্রেস প্রার্থীরা।
দিল্লি পুরসভার মেয়র পদে আপ প্রার্থী করছে প্রথম বার কাউন্সিলর নির্বাচনে জয়ী শেলি ওবেরয়কে। ৩৯ বছর বয়সি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা শেলি ‘বিজেপির ঘাঁটি’ হিসাবে পরিচিত দিল্লির ইস্ট পটেলনগর এলাকার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন। ডেপুটি মেয়র পদে আপের প্রার্থী আলে মহম্মদ খান। আপ নেতা তথা ৬ বারের বিধায়ক শোয়েব ইকবালের ছেলে এ বার চাঁদনি মহল এলাকা থেকে ১৭ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন।
বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনসংখ্যা না থাকলেও এখনই মেয়র পদের আশা ছাড়তে নারাজ বিজেপি। তারা মেয়র পদে প্রার্থী করেছে শালিমার বাগের রেখা গুপ্তকে। ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী রামনগর এলাকার একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কমল বাগরী।
তবে দিল্লি পুরসভার আসন আড়াইশোটি হলেও এখানে রাজ্যসভার ৩ জন ও লোকসভার ৭ জন সাংসদ এবং ১৪ জন বিধায়কেরও ভোটাধিকার রয়েছে। যার অর্থ, মোট ২৭৪টি ভোটের মধ্যে যে দল ১৩৮টি ভোট পাবে, সেই দলের প্রার্থীই মেয়র পদে জয়ী হবেন। অঙ্কের হিসাবে ১৩৪ জন কাউন্সিলর, রাজ্যসভার তিন জন সাংসদ এবং ১৩ জন বিধায়কের ভোট আপের পক্ষে রয়েছে। অর্থাৎ সবাই ভোট দিলে ১৫০টি ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচনে আপের প্রার্থীরই জেতা উচিত। অন্য দিকে, বিজেপি পুরভোটে পেয়েছে ১০৪টি আসন। পরে ১ জন নির্দল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া লোকসভার ৭ সাংসদ ও ১ জন বিধায়কের ভোট পাচ্ছে বিজেপি। সে ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে পুরসভায় এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদীর দলের শক্তি ১১৩।