Chhattisgarh

জ্যান্ত মুরগির ছানা গিলে ফেললেন যুবক! শ্বাসনালি ক্ষতবিক্ষত হয়ে মৃত্যু, পেট থেকে উদ্ধার জীবিত মুরগি

ছত্তীসগঢ়ে জীবন্ত মুরগির ছানা গিলে ফেলেছিলেন যুবক। মৃত্যুর পর তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে বিস্মিত হন চিকিৎসকেরা। পেট থেকে জীবন্ত অবস্থাতেই বার করা হয় মুরগির ছানাটিকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৪০
জীবন্ত মুরগির ছানাটি ২০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ, জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

জীবন্ত মুরগির ছানাটি ২০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ, জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

জ্যান্ত মুরগির ছানা গিলে খেয়ে মৃত্যু হল যুবকের। তবে তাঁর পেট থেকে মুরগির ছানাটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই মুরগির ছানা ঢুকে পড়ায় যুবকের শ্বাসনালি ক্ষতবিক্ষত হয়। কী কারণে তিনি জ্যান্ত মুরগি খেয়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গ্রামের কোনও তান্ত্রিকের পরামর্শে এই কাজ তিনি করে থাকতে পারেন, জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যেরা।

Advertisement

ছত্তীসগঢ়ের অম্বিকাপুরের ছিন্দকালো গ্রামের ঘটনা। যুবকের নাম আনন্দ যাদব (৩৫)। তাঁর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, স্নান করে বেরিয়েই অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু কী কারণে এই মৃত্যু, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। যুবকের দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, যুবকের গলার কাছে একটি কাটা দাগ দেখা গিয়েছিল। পরে তার পেট কেটে বার করে আনা হয় জীবন্ত একটি মুরগির ছানা। যুবক কোনও ভাবে সেটিকে গিলে ফেলেছিলেন। মুরগির ছানাটি প্রায় ২০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ। তার ফলে যুবকের শ্বাসনালি এবং খাদ্যনালি রুদ্ধ হয়ে পড়ে। সেই কারণেই এই মৃত্যু বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি সারা জীবনে ১৫ হাজারের বেশি ময়নাতদন্ত করেছেন। কিন্তু এমন ঘটনা আগে কখনও দেখেননি।

অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পেরেছে, যুবক বাবা হতে পারছিলেন না। তাই গত কয়েক দিন ধরে এক তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর পরামর্শেই আস্ত মুরগির ছানা গিলে খেয়েছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ওই তান্ত্রিকের সন্ধান করছে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন