এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
তিন বছরের ছেলের সামনেই হাতুড়ির আঘাতে লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করলেন যুবক! তার পর ছেলেকেও রেখে এলেন বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের নির্জন এক রাস্তায়। শেষে নিজেই থানায় গিয়ে দায়ের করলেন লিভ ইন সঙ্গী ও ছেলের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ! সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের পুণেতে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে পুণেতে লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের পর গাড়ি চালিয়ে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে সাতারা জেলার খান্ডালার এক জায়গায় গিয়ে দেহটি ফেলে দেন যুবক। অভিযুক্তের বয়স ৩২ বছর। পুণেরই একটি এসি রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থায় কাজ করতেন ওই যুবক। গত বেশ কিছু বছর ধরে পুণের মারুনজি এলাকার এক আবাসনে সঙ্গীর সঙ্গে একত্রবাসে থাকতেন তিনি। তাঁদের তিন বছরের এক ছেলেও ছিল।
বুধবার পুলিশের সিনিয়র ইন্সপেক্টর নিবৃত্তি কোলহাটকার বলেন, ‘‘গত রবিবার রাতে এক যুবক হিঞ্জেওয়াড়ি থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করতে আসেন। বলেন, তাঁর ছেলে ভূমকার চকের কাছে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলন্দি এলাকা থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা যায়, ‘বাবা’ই সেখানে ফেলে এসেছিলেন তাকে।’’ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, খোঁজ মিলছে না শিশুটির মায়েরও। বেগতিক বুঝে সোমবার ভোরে লিভ ইন সঙ্গীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগও দায়ের করেন যুবক।
ঘটনাচক্রে, সোমবারই খান্ডালার খাম্বাটকি ঘাটে এক মহিলার দেহ দেখতে পান এক ট্রাক চালক। খান্ডালা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এর পরেই তদন্তে উঠে আসে আসল কথা। জেরার মুখে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন ওই যুবক। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বচসার সময় রাগে হাতুড়ি দিয়ে লিভ ইন সঙ্গীর মাথায় সজোরে আঘাত করে বসেন যুবক। ঘটনাটি ঘটে তিন বছরের ছেলের সামনেই। এর পর সঙ্গীর দেহ ফেলতে গাড়ি চালিয়ে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন তিনি। শেষমেশ খান্ডালার এক নির্জন এলাকায় দেহটি ফেলে দেন। শুধু তাই নয়, এর পর ছেলেকেও বাড়ি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের এক রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি!
ইতিমধ্যেই ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে আরও কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।