এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
প্রাক্তন স্ত্রীর ‘বন্ধু’ ও পরিবারকে মারতে অনলাইনে বোমা ও দেশি পিস্তল বানানো শিখেছিলেন জামাই! নিজে হাতে বোমা বানিয়ে তা পার্সল করে যথাস্থানে পাঠিয়েও দেন। শনিবার সবরমতির এক বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ বার এমনই সূত্র পেল পুলিশ। রবিবার আমদাবাদ থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, ধরা পড়েছেন ওই যুবকের এক সহযোগীও। ধৃতদের কাছ থেকে মিলেছে বোমা ও পিস্তল তৈরির কাঁচামাল এবং বেশ কয়েকটি কার্তুজ।
রবিবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃতের নাম রূপেন রাও। গত কয়েকমাস ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁর। ওই দম্পতির এক সন্তানও রয়েছে। ধৃত রূপেনের দাবি, স্ত্রী ও তাঁর মধ্যে দূরত্ব তৈরির জন্য দায়ী স্ত্রীর পরিবার এবং ‘বন্ধু’ বলদেব। তাই তাঁদের উপর ‘প্রতিশোধ’ নিতে বোমা বানানোর ছক কষেন যুবক। সেই মতো অনলাইনে খুঁজে খুঁজে কিনে ফেলেন বোমা বানানোর যাবতীয় সরঞ্জাম ও মালমশলা! অনলাইনে দেখে দেখেই তিনটি বোমা বানানো হয়। বানানো হয় দেশি পিস্তলও!
শনিবার সকালে সবরমতি এলাকায় স্ত্রীর বন্ধু বলদেবের বাড়িতে বোমাটি পার্সল করে পাঠান রূপেন। এর পর সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বাড়িটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। ঘটনায় দু’জন আহত হলেও কারও মৃত্যু হয়নি। এর পরেই তদন্তে নেমে রূপেনের খোঁজ পায় পুলিশ। গুজরাত পুলিশের ডিসিপি ভরত রাঠোর সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘শনিবার বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকেই গৌরব নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে রূপেন ও তার সহযোগী রোহনের খোঁজ মেলে। তাঁদের ডেরা থেকে আরও দু’টি বোমা, তিনটি দেশি পিস্তল, সালফার পাউডার, বারুদ, ব্যাটারি, কাঠকয়লা এবং বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত একটি বৈদ্যুতিন সার্কিট উদ্ধার হয়েছে।’’ পুলিশই জানিয়েছে, রূপেনের বিশ্বাস, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের নেপথ্যে শ্বশুরবাড়ির পরিজনেরা ছাড়াও বলদেবের হাত রয়েছে। তাই তাঁদের ‘শিক্ষা’ দিতে মাসছয়েক আগে ইউটিউব দেখে রিমোট নিয়ন্ত্রিত বোমা বানানো শেখা শুরু করেন অভিযুক্ত। বোমাগুলি উদ্ধার করে ফরেনসিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। সেগুলি কতটা শক্তিশালী, তা প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে আসার পরেই বোঝা যাবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক সংক্রান্ত আইন-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।