Illicit Relationship

যদি মেরঠের মতো পরিণতি হয়! পরকীয়া জানার পর প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিয়ে বললেন যুবক

মেরঠে প্রাক্তন মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী এবং স্ত্রীর প্রেমিক সাহিল শুক্লের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা দেখে ‘শিক্ষা’ নিয়েছেন বাবলু।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ২৩:০২
Man gets wife married to lover in UP after Meerut case

স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিকের বিয়ে দেওয়ার পরে নবদম্পতির সঙ্গে ছবি তুলেছেন বাবলু (বাঁ দিকে)। ছবি: এক্স।

উত্তরপ্রদেশের মেরঠে প্রাক্তন মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী এবং স্ত্রীর প্রেমিক সাহিল শুক্লের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা দেখে ‘শিক্ষা’ নিয়েছেন ওই রাজ্যেরই আর এক যুবক বাবলু। তিনি স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে প্রেমিকের সঙ্গেই তাঁর বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। গ্রামের মন্দিরে স্ত্রীর বিয়ের সময়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকেছেন। আবার আইনি বিয়েতেও নিজে সাক্ষী হিসাবে সই করেছেন। গ্রামের লোকজনকে এই বিয়ের বিষয়ে রাজিও করিয়েছেন বাবলু। স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়ে কোনও ঝগড়াঝাঁটি করেননি তিনি।

Advertisement

২০১৭ সালে গোরক্ষপুরের মেয়ে রাধিকার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বাবলুর। তিনি পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। ফলে বাড়িতে থাকতেন না। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। কিছু দিন আগে তিনি জানতে পারেন, বিকাশ নামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। কাউকে না-জানিয়েই গ্রামে ফিরে এসেছিলেন যুবক। গোপনে স্ত্রীর উপর নজর রাখতেন তিনি। তাঁর পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর যুবক গ্রামবাসীদের জানান, তিনি বিকাশের সঙ্গেই তাঁর স্ত্রীর বিয়ে দিতে চান। দুই সন্তানকে তিনি একাই বড় করে তুলবেন।

গ্রামের শিবমন্দিরে স্ত্রীকে নিয়ে যান যুবক। প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর চার হাত এক করে দেন। নিজে দাঁড়িয়ে তাঁদের মালাবদল দেখেন। নবদম্পতির সঙ্গে ছবিও তোলেন। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে যুবক বলেছেন, ‘‘নিজের ক্ষতি যাতে না-হয়, তার জন্যই ওদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকাল চারপাশে দেখছি, স্বামীদের খুন করে ফেলছেন স্ত্রীরা। মেরঠে যা হল কিছু দিন আগে, তা দেখার পরেই আমি ঠিক করেছিলাম, স্ত্রীর সঙ্গে ওর প্রেমিকের বিয়ে দিয়ে দেব। যাতে আমরা দু’জনেই ভাল থাকতে পারি।’’

মেরঠে সৌরভকে খুন করে তাঁর দেহ ১৫ টুকরো করে কেটেছিলেন মুস্কান এবং সাহিল। সেই দেহাংশ ড্রামে ভরে তাঁরা সিমেন্ট ঢেলে দিয়েছিলেন। পরে নিজেরা ঘুরতে চলে গিয়েছিলেন শিমলায়। সেখান থেকে ফেরার পর পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। আপাতত দু’জনেই জেলে। সৌরভকে খুনের কথা তাঁরা স্বীকার করেছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন