(বাঁ দিকে) খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত পুরোহিত সাই কৃষ্ণ। তাঁর প্রেমিকা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
পরকীয়া সঙ্গীকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ ভরে রেখেছিলেন যুবক। সেই ট্যাঙ্কের মুখ সিমেন্ট ঢেলে ‘সিল’ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রেফতারি এড়াতে পারেননি। দু’বছর পর তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি শোনাল আদালত। অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি হায়দরাবাদের। অভিযুক্তের নাম বেঙ্কট সাই সূর্য কৃষ্ণ। তিনি পেশায় পুরোহিত। ২০২৩ সালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রেমিকাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ জানায়, বেঙ্কট বিবাহিত। তার পরেও এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন তাঁর সঙ্গে থেকেছেন যুবক। কিন্তু তরুণী যখন তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন, তখন তিনি ‘পথের কাঁটা’ সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
অভিযোগ, ২০২৩ সালের জুন মাসে যুবক কোয়েম্বত্তূরে ঘুরতে যাবেন বলে রাজি করিয়েছিলেন প্রেমিকাকে। সেই রাতেই শামসাবাদের কাছে নারখোদা গ্রামে নিয়ে গিয়ে প্রেমিকার মাথায় পাথরের বাড়ি মারেন। মাথা থেঁতলে খুন করেন তরুণীকে। তার পর সেই দেহ নিয়ে একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে ভরে দেন। ট্যাঙ্কের মুখ বন্ধ করে দেন সিমেন্ট ঢেলে। এর পর নিজের শহরে ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে শুরু করেন যুবক। তরুণীর নিখোঁজ হওয়ার কথা পুলিশকে তিনিই জানিয়েছিলেন। নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন থানায়।
তরুণীকে খুঁজতে বেরিয়ে খুনের একাধিক প্রমাণ পান তদন্তকারীরা। সন্দেহ হওয়ায় অভিযোগকারী যুবককে ডেকে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জেরার মুখে একসময়ে খুনের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, সকলের নজর এড়িয়ে কী ভাবে মৃতদেহ সরানো যায়, সে বিষয়ে গুগ্ল সার্চ করেছিলেন অভিযুক্ত। একে একে সে সব তথ্য প্রকাশ্যে আসে। নির্দিষ্ট সময় পরে এই ঘটনার চার্জশিট আদালতে জমা দেয় পুলিশ। দু’বছরের মাথায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছে আদালত। খুনের অপরাধে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগও আদালতে প্রমাণিত। ওই অপরাধে তাঁকে আরও সাত বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।