উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় অসুস্থ স্ত্রীকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন প্রৌঢ়। ছবি: সংগৃহীত।
স্ত্রী অসুস্থ। সপ্তাহে তিন দিন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু বাধ সেধেছে বৃষ্টি। রাস্তার জমা জল পেরিয়ে কী ভাবে হাসপাতালে পৌঁছবেন মুমূর্ষু রোগী? উপায়ান্তর না দেখে পঞ্চাশোর্ধ্ব স্ত্রীকে কোলে তুলে নিলেন প্রৌঢ়। নিজে জল পেরিয়ে সে ভাবেই স্ত্রী নিয়ে গেলেন হাসপাতাল পর্যন্ত। এই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কেন ওই প্রৌঢ় হুইলচেয়ার বা স্ট্রেচার পেলেন না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক প্রৌঢ় তাঁর স্ত্রীকে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটছেন। রাস্তায় জল জমে রয়েছে। তাতে তাঁর পা বেশ কিছুটা ডুবে গিয়েছে। তার উপর দিয়েই স্ত্রীকে কোলে নিয়ে তিনি হাঁটছেন। স্বামীকে আঁকড়ে আছেন স্ত্রী। এই ভিডিয়ো নিয়ে চারদিকে চর্চা শুরু হয়েছে। ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি শনিবারের। ওই প্রৌঢ়ের স্ত্রীর ডায়ালিসিসের চিকিৎসা চলে। সপ্তাহে তিন দিন করে সরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যেতে হয়। শনিবার বৃষ্টির জলে তাঁকে নামতে দেননি প্রৌঢ়। চেষ্টা করেও তিনি হুইলচেয়ার বা স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে অভিযোগ। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গোন্ডা মেডিক্যাল কলেজের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আদিত্য বর্মা বলেন, ‘‘আমরা ওই প্রৌঢ়ের সঙ্গে কথা বলেছি। জানতে পেরেছি, ডায়ালিসিস চিকিৎসার জন্য তিনি স্ত্রীকে নিয়ে সপ্তাহে তিন দিন করে আমাদের হাসপাতালে আসেন। কখনওই হুইলচেয়ার বা স্ট্রেচার চাননি। আমরা অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। কেউ দোষী হলে তাঁর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’’
উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে। একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। গোন্ডা তার মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া, লখিমপুর খেরি, বহরাইচ, ফারুকাবাদ, বালিয়া, গোরখপুর, অযোধ্যার মতো জেলাও বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত।