আগামী সপ্তাহ জুড়ে রাজ্যে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। — ফাইল চিত্র।
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। দক্ষিণবঙ্গেও ক্রমাগত চলছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। কবে মেঘ ফুঁড়ে উঠবে ঝকঝকে রোদ? বিদায় নেবে বৃষ্টি? বঙ্গবাসীর মনে এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, নিম্নচাপ কেটে গিয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। স্বস্তির বিষয়, উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ কাটছে। আপাতত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই সেখানকার আট জেলায়। ঘূর্ণাবর্ত এবং অক্ষরেখার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে জলীয় বাষ্প। তার জেরে উত্তরবঙ্গে চলতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার, ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তবে জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হবে না। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু জায়গায় বৃষ্টি চলবে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঝড়বৃষ্টির জন্য কোনও জেলায় সতর্কতা জারি করেনি হাওয়া অফিস। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়নি।
উত্তরবঙ্গে শনিবারই ভারী বৃষ্টিতে ইতি পড়তে চলেছে বলে পূর্বাভাস। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির জন্য উত্তরবঙ্গের আট জেলাতেই কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। সপ্তাহভর চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। তবে জেলার সব জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে অনেক অংশে চলবে বৃষ্টি। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে স্বস্তি উত্তরবঙ্গের প্রশাসন। গত দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং সমতল। বহু এলাকায় ধস নেমেছে। তিস্তা-সহ বেশ কিছু নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তীর থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫.৮ কিলোমিটার উঁচুতে রয়েছে। উত্তর-পূর্ব আরব সাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। এই দুইয়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে জলীয়বাষ্প। তার প্রভাবেই আগামী সপ্তাহ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে সারা রাজ্যে।