উত্তরপ্রদেশে রেললাইনের উপরে কংক্রিটের পিলার সাজিয়ে রাখার অভিযোগ। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আবার বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল প্যাসেঞ্জার ট্রেন। উত্তরপ্রদেশে রেললাইনের উপর কংক্রিটের পিলার রাখা ছিল বলে অভিযোগ। তা ঠিক সময়ে দেখতে পেয়ে সজোরে ব্রেক কষেন চালক। ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। তবে চালকের সামান্য অসাবধানতাতেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। রেললাইনে কংক্রিটের পিলার রাখার অভিযোগে ১৬ বছরের এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট ডিভিশনের বান্দা থেকে বুন্দেলখণ্ড ডিভিশনের মাহোবার দিকে যাচ্ছিল প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। শনিবার দুপুরে ওই ট্রেন ছিল যাত্রীতে ঠাসা। আচমকা ব্রেক কষেন চালক। লাইনের মাঝে আচমকা ব্রেক কষায় যাত্রীরাও অবাক হয়েছিলেন। পরে জানা যায়, লাইনের উপর প্রতিবন্ধকতার কথা জানতে পেরে ট্রেন থামানো হয়েছে।
লাইনের উপর কোনও না কোনও প্রতিবন্ধকতার কারণে এই নিয়ে পর পর দু’দিন ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটল। শুক্রবার বালিয়ায় লাইনের উপর রাখা ছিল বড় একটি পাথর। চালককে ব্রেক কষে ট্রেন থামাতে হয়েছিল। শনিবারও অনুরূপ ঘটনা ঘটল।
শনিবার ঘটনাস্থল থেকেই রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ট্রেনের চালক। যোগাযোগ করা হয় স্থানীয় পুলিশের সঙ্গেও। দেখা যায়, লাইনের উপর সাজানো একের পর এক কংক্রিটের পিলার। যার একটিতেও ধাক্কা লাগলে ট্রেনের গতিপথ ব্যাহত হতে পারত। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। পুলিশ এসে পিলার সরিয়ে দিয়ে দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৬ বছরের এক কিশোরকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, লাইনের উপর কংক্রিটের পিলার সাজিয়ে রাখার কথা সে স্বীকারও করে নিয়েছে। কেন এমন কাজ সে করল? কী উদ্দেশ্য ছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সার্কেল অফিসার দীপক দুবে বলেন, ‘‘আরপিএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিশোরকে আটক করে। সে লাইনের উপর পিলার রাখার কথা স্বীকার করে নিয়েছে।’’
কিছু দিন আগে কানপুরে রেললাইনের উপরে একটি গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া গিয়েছিল। তার পাশে দেশলাই বাক্সও সাজানো ছিল। পুলিশের অনুমান, ট্রেন লাইনচ্যুত করার উদ্দেশ্যেই সেগুলি লাইনের উপরে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সিলিন্ডারে ধাক্কা মারলেও সে দিন অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা এড়িয়েছিল কালিন্দি এক্সপ্রেস।