Murder

বেকারত্ব থেকে হতাশা, মাকে খুনের পর ৭৭ পাতার সুইসাইড নোট লিখে নিজের গলা কাটলেন যুবক!

২৫ বছর বয়সি ওই আত্মঘাতী যুবকের নাম ক্ষিতীশ। বিধবা মা মিথিলেশকে নিয়ে তাঁদের দু’জনের সংসার। দু’-তিন দিন আগে মাকে খুন করেন যুবক। তার পর দেহ ফেলে রাখেন শৌচাগারে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:০৮

কাজ নেই হাতে। বেকারত্বের কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। মাকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন হতাশাগ্রস্ত যুবক। ৭৭ পাতা জুড়ে লিখে গেলেন মাকে খুন এবং আত্মহত্যার কারণ। রবিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির রোহিণী এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ বছর বয়সি ওই আত্মঘাতী যুবকের নাম ক্ষিতীশ। বিধবা মা মিথিলেশকে নিয়ে তাঁদের দু’জনের সংসার। দু’-তিন দিন আগে মাকে খুন করেন তিনি। তার পর দেহ ফেলে রাখেন শৌচাগারে। দু’দিন নিজেও বাড়ির বাইরে বেরোননি। ৭৭ পাতার একটি সুইসাইড নোট লিখেছেন। পরে রবিবার নিজের গলায় ছুরি বসান তিনি।

Advertisement

রবিবার রাত ৮টা নাগাদ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। ক্ষিতীশের এক প্রতিবেশী পুলিশকে ফোন করে জানান, তীব্র পচা গন্ধে তাঁরা অতিষ্ঠ। গন্ধটা পাশের বাড়ি থেকেই আসছে। কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।

এর পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দরজা ভেঙে প্রথমে উদ্ধার হয় যুবকের নিথর দেহ। তাঁর শরীরের চারপাশ চাপ চাপ রক্তে ভাসছিল। বাড়ির এ দিক-ও দিক ঘুরে শৌচাগারে পা রাখতেই চমকে যান পুলিশ আধিকারিকরা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় যুবকের মায়ের মৃতদেহ। পুলিশ জানায়, ওই দেহটি পুরোপুরি পচে গিয়েছে। রোহিণীর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রণব তয়াল জানান, একটি ৭৭ পাতার সুইসাইড নোট পেয়েছেন তাঁরা। সেই নোটের পাতায় পাতায় নিজের হতাশার কথা লেখা আছে। লেখা রয়েছে বেকারত্বের গ্লানির কথা। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য মৃতদের আত্মীয় এবং পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement