India-Maldives Relationship

সম্পর্কে টানাপড়েনের মধ্যেই ভারত সফরে এলেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী, বৈঠক জয়শঙ্করের সঙ্গে

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী। ওই বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, মলদ্বীপ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ১১:২২
মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জ়মির (বাঁ দিকে)।

মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জ়মির (বাঁ দিকে)। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আবহেই বুধবার রাতে দিল্লি এলেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জ়মির। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

Advertisement

দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক নানা বিষয় উঠে আসবে বলে জানা গিয়েছে। মুসাকে ভারতে স্বাগত জানিয়ে বুধবার রাতেই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে লেখা হয়, দুই দেশের বহুমুখী সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে আলোচনা এবং বৈঠক হবে।

বিদেশ মন্ত্রকের সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার এক দিনের সরকারি সফরে দিল্লিতে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী। ওই বিবৃতিতে দ্বীপরাষ্ট্রটির সম্পর্কে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, মলদ্বীপ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী।

ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপ সরকারের সম্পর্ক ক্রমশ অবনতি ঘটেছে এই কয়েক মাসে। মুইজ্জু চিনপন্থী এবং ভারত-বিরোধী হিসাবে পরিচিত। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল মুইজ্জুর তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তার পর ভারতের সমাজমাধ্যমে মলদ্বীপ বয়কটের ডাক ওঠে। অনেকেই মলদ্বীপে যাওয়ার টিকিট বাতিল করে দেন। যার ফলে দেশটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ইতিমধ্যে চিনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন মুইজ্জু। এমনকি, মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর নির্দেশও দেন তিনি। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। শেষ পর্যন্ত ভারত সরকার মলদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। এই আবহেই এসে পড়ে সে দেশের পার্লামেন্ট নির্বাচন। মলদ্বীপের বিরোধী দলগুলি মুইজ্জু সরকারের ভারত বিরোধী অবস্থানের বিরোধিতা করে প্রচারও করে। কিন্তু তার পরেও মুইজ্জুর দল মলদ্বীপের পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।

আরও পড়ুন
Advertisement