(বাঁ দিক থেকে) একনাথ শিন্ডে, অজিত পওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফডণবীস। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে জল্পনা আর টানাপড়েনে ইতি পড়েছে এক সপ্তাহ আগে। এ বার মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত)-এর ‘মহাজুটি’র মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ এবং দফতর বণ্টন ঘিরে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে শরিকি বৈঠকে জট কাটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী শনিবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে। বিজেপির ২২, শিন্ডেসেনার ১২ এবং অজিতপন্থী এনসিপি ন’টি মন্ত্রিপদ পেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার দিল্লি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং অন্যতম উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। তাঁরা শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে মহারাষ্ট্র বিজেপি জানিয়েছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে দিল্লি যাননি। ফলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত, গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে মুম্বইয়ের আজ়াদ ময়দানে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস। তাঁর সঙ্গেই শপথ নেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী— শিবসেনা (শিন্ডে)-র প্রধান একনাথ এবং এনসিপি (অজিত)-এর সভাপতি অজিত । কিন্তু অন্য কোনও মন্ত্রী শপথ নেননি।
শাসকজোট ‘মহাজুটি’র একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্বরাষ্ট্র-সহ কয়েকটি দফতর নিয়ে শরিকি টানাপড়েনের কারণেই এ বিষয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি নেওয়া হচ্ছে। সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে এখনও স্বরাষ্ট্র দফতরের দাবিতে অনড় থাকলেও তাঁকে তা দেওয়া হবে না বলেই বিজেপির ওই সূত্র জানাচ্ছে। বদলে রাজস্ব, নগরোন্নয়ন এবং পূর্ত দফতর দেওয়া হতে পারে শিন্ডেসেনাকে। কম আসনে জিতলেও অজিতের দল অর্থ, পরিকল্পনা এবং সেচের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেতে চলেছে। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে শিন্ডেসেনার। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন জোটের তিন দল— বিজেপি, শিন্ডেসেনা এবং এনসিপি(অজিত) যথাক্রমে ১৩২, ৫৭ এবং ৪১টি আসনে জিতেছে।