নিরাপত্তার স্বার্থে কলকাতামুখী একাধিক উড়ানকে ভুবনেশ্বর এবং রাঁচী অভিমুখে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। —প্রতীকী চিত্র।
ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ উড়ান পরিষেবা ব্যাহত হল। সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ায় এ দিন সকালের দিকে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের নীচে নেমে আসে। এই অবস্থায় নিরাপত্তার স্বার্থে কলকাতামুখী একাধিক উড়ানকে ভুবনেশ্বর এবং রাঁচী অভিমুখে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময়ে কলকাতা থেকেও একাধিক বিমান নির্ধারিত সময়ে উড়তে পারেনি।
কুয়াশার দাপটে এ দিন ৭২টি উড়ানের পরিষেবা ব্যাহত হয় বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর। মূলত ভোর পাঁচটা থেকে উড়ান চলাচল ব্যাহত হয়। সকাল ৯টার পরে আকাশ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে থাকে। তবে, কুয়াশার জের চলে সকাল ১০টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে কলকাতা থেকে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল ৩৯টি উড়ানের। অন্য দিকে, কুয়াশার কারণে ২১টি উড়ান সময় মতো নামতে পারেনি। ১২টি বিমানকে অন্য গন্তব্যে ঘুরিয়ে দিতে হয়। তার মধ্যে বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মুম্বই থেকে কলকাতামুখী ইন্ডিগোর ছ’টি উড়ান ছিল। বাকি উড়ানগুলির মধ্যে আকাশ এয়ার, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ছাড়াও বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিমান সংস্থার উড়ান ছিল। ১২টি উড়ানের মধ্যে সাতটি ভুবনেশ্বর এবং তিনটি উড়ানকে রাঁচী বিমানবন্দর অভিমুখে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বাকি দু’টি বিমানের মধ্যে একটি চেন্নাই এবং অন্যটি হায়দরাবাদ সংলগ্ন শামসাবাদ বিমানবন্দরের দিকে উড়ে যায়।
পরে দৃশ্যমানতার উন্নতি হলে ওই সব উড়ান যাত্রীদের নিয়ে কলকাতা ফিরে আসে।
কুয়াশার পরিস্থিতিতে বিমান ওঠানামা করার উপযোগী প্রযুক্তি কলকাতা বিমানবন্দরে থাকলেও এ দিন দৃশ্যমানতা অস্বাভাবিক নীচে নেমে যাওয়ার জন্য উড়ান
ওঠানামা করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয় বলে খবর। খারাপ আবহাওয়া-সহ বিশেষ পরিস্থিতিতে কলকাতা বিমানবন্দরের কাছাকাছি বিকল্প হিসাবে কাজ করে ভুবনেশ্বর এবং রাঁচী বিমানবন্দর। এ দিন সেই কারণেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক উড়ানকে ওই দুই বিমানবন্দর অভিমুখে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
সকালে কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হওয়ার প্রভাব পড়ে বেলার দিকে অন্যান্য উড়ানের ক্ষেত্রেও। এর ফলে বহু উড়ান এ দিন তাদের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছেড়েছে।