ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান যৌথবাহিনীর। —ফাইল চিত্র।Maoist Attack in Chhattisgarh
যৌথবাহিনীর দমন অভিযানের মধ্যেই ছত্তীসগঢ়ে প্রত্যাঘাত করল মাওবাদী গেরিলা বাহিনী। বিজেপি নেতাকে ঘর থেকে টেনে বার করে ঝুলিয়ে দিল তারা। যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের চরদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে ছড়িয়ে দিল লিফলেট। মঙ্গলবার গভীর রাতে বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলার ঘটনা।
জেলা পুলিশের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ফরসেগঢ় থানার অন্তর্গত সোমনপল্লী গ্রামে। নিহত বিজেপি নেতার নাম কুদিয়াম মাঢ়ো (৩৫)। জনজাতি গোষ্ঠীর ওই নেতা বিজেপির জেলা কৃষক সংগঠনের সহ-সভাপতি ছিলেন। খুনের পর ছড়ানো লিফলেটে মাওবাদীরা জানিয়েছে, মাঢ়ো পুলিশের চর ছিলেন। তাই এই শাস্তি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর লোকসভা ভোটপর্বের সময় বস্তারের নারায়ণপুর জেলায় বিজেপির শক্তি কেন্দ্রের সহ-আহ্বায়ক পঞ্চমদাস মানিকপুরীকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে কুপিয়ে খুন করেছিল মাওবাদীরা। গত বছর নারায়ণপুরে বিজেপির জেলা সভাপতি সাগর সাহুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল তারা। ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মহেশ গাগদা বুধবার জানান, চলতি বছর নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সশস্ত্র শাখা ‘পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি’ (পিএলজিএ) অন্তত ৬০ জন গ্রামবাসীকে খুন করেছে!
মাওবাদী উপদ্রুত বস্তার ডিভিশনের বিভিন্ন জেলায় লোকসভা ভোটের পর থেকেই মাওবাদী দমন অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় আধাসেনা এবং ছত্তীসগঢ় পুলিশের যৌথবাহিনী। সমান্তরাল ভাবে পিএলজিএ যোদ্ধারাও কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ট্যাকটিক্যাল কাউন্টার অফেন্সিভ ক্যাম্পেন’ (টিসিওসি) চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দু’তরফের সংঘর্ষে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বিজাপুর, কাঁকের, দন্তেওয়াড়া, নারায়ণপুরের মতো জেলাগুলিতে।