প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মধ্যপ্রদেশের চারটি ব্যাঘ্রপ্রকল্প থেকে ১৪টি বাঘ ও বাঘিনিকে তিন রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে ওড়িশা দু’টি, রাজস্থান চারটি এবং ছত্তীসগঢ় আটটি পাবে। মধ্যপ্রদেশ বন দফতরের তরফে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়েছে। অর্থাৎ, জ়িনত এবং যমুনা-কাণ্ডের আবহেই আবার ওড়িশায় আসতে চলেছে ভিন্রাজ্যের বাঘ!
জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের (এনটিসিএ) একটি সূত্র জানাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড়, কান্হা, পেঞ্চ এবং পান্না ব্যাঘ্রপ্রকল্পের বাফার এলাকা থেকে ওই ১৪টি বাঘকে ধরা হবে। সম্প্রতি বান্ধবগড় থেকে দু’টি বাঘকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন জঙ্গলের বাঘেদের জিনগত বৈচিত্র বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ। কারণ, একটি নির্দিষ্ট অরণ্যের বাঘেদের মধ্যে ক্রমাগত অন্তঃপ্রজনন ঘটলে দুর্বল বংশধরদের জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে।
গত নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের তাড়োবা ব্যাঘ্রপ্রকল্প থেকে আনা দুই বাঘিনি জ়িনত এবং যমুনাকে রেডিয়ো কলার পরিয়ে ওড়িশার সিমিলিপাল ব্যাঘ্রপ্রকল্পে ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু এর পরে দু’টি বাঘিনিই সিমলিপাল ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দেয়। জ়িনত ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে বাংলার জঙ্গলমহলে। যমুনা গিয়েছে সিমিলিপাল লাগোয়া কুলডিহা অভয়ারণ্যে। তাদের ধরতে নাজেহাল ওড়িশার বন দফতর এবং এনটিসিএর বিশেষজ্ঞেরা। এর আগে ২০১৮ সালে বান্ধবগড় থেকে ওড়িশায় টিকরপাড়া ব্যাঘ্রপ্রকল্পে সুন্দরী নামে একটি বাঘিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আক্রমণে এক গ্রামবাসীর মৃত্যুর পরে এলাকা অশান্ত হয়ে ওঠে। ২০১৯ সালে আবার বান্ধবগড়ে সুন্দরীকে ফেরত পাঠায় ওড়িশা বন দফতর।