রামনবমীর ঘটনায় ৬০ টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়ছিল। ফাইল চিত্র ।
রামনবমীর দিন সংঘর্ষে জড়িয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পত্তি ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানোর অভিযোগ ওঠে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১২ বছর বয়সি ওই কিশোরকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।
অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলায় রামনবমীর সময় যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে তাতে সে-ও যুক্ত ছিল। অভিযুক্ত কিশোরের এক প্রতিবেশী মহিলার অভিযোগ, রামনবমীর মিছিলের সময় গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে তাঁদের এলাকাতেও তাণ্ডব চলে। আর সেই সময় অভিযুক্ত কিশোর ওই মহিলার পরিবারের সম্পত্তি নষ্ট করে বলে অভিযোগ। কিশোরের অন্যান্য প্রতিবেশীও তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
জরিমানা করা হয়েছে ওই কিশোরের বাবাকেও। তাঁকেও সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত কিশোরের বাবা কালু খান পেশায় এক জন দিনমজুর। তাঁর দাবি, তাদের উপর অন্যায় ভাবে এই জরিমানা চাপানো হয়েছে। কালু বলেন, ‘‘আমার ছেলে নাবালক। রামনবমীর দিন যখন সংঘর্ষ বাধে তখন আমরা সবাই ঘুমোচ্ছিলাম। আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’’ ওই কিশোরের মা জানিয়েছেন যে, পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে ভেবে তাঁদের ছেলে প্রতিনিয়ত ভয় পাচ্ছে।
প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (এআইএমআইএম)-প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। টুইটারে এই ঘটনা জানিয়ে ওয়াইসি লেখেন, ‘‘এক ১২ বছর বয়সি কিশোরকে মধ্যপ্রদেশ সরকার দোষী সাব্যস্ত করেছে। সংখ্যালঘুদের প্রতি এতটাই ঘৃণা যে এখন তারা শিশুদের কাছ থেকেও জরিমানা চাইছে।’’
প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল খারগোন জেলায় রামনবমী মিছিলে কয়েক জন দুষ্কৃতী পাথর ছোড়ায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে শহরে কারফিউও জারি করা হয়েছিল। এই ঘটনায় ৬০ টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়ছিল। মামলা রুজু হয়েছিল ১৭০ জনের বিরুদ্ধে। সরকারের তরফে অনেক অভিযুক্তের বাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়।