মহারাষ্ট্রের নাসিকে সন্তান এবং মায়ের মৃত্যু। — প্রতীকী চিত্র।
মা এবং ছেলের শেষকৃত্য একই সঙ্গে সম্পন্ন হল মহারাষ্ট্রের নাসিকে। মহিলার সন্তান মানসিক ভারসাম্যহীন। ৩৭ বছর ধরে সন্তানকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার মৃত্যু হয় তাঁর সন্তানের। সেই ধাক্কা সহ্য করতে পারেননি মহিলা। ছেলে মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনিও। এর পরে এলাকাবাসীদের সিদ্ধান্তে মুকেশ (৩৭) এবং তাঁর মা সাকুবাই জালতের (৭৫) শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় একই সঙ্গে।
নাসিকের ওই তরুণ জন্ম থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। স্পষ্ট ভাবে কথা বলতে পারতেন না। কে কী বলছেন, তা-ও স্পষ্ট ভাবে বুঝতেও পারতেন না। ছোটবেলা থেকেই তাঁর কথা বলার এবং বোঝার মাধ্যম ছিলেন মা সাকুবাই। ৩৭ বছর ধরে সন্তানকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন তিনি। ছেলে কী বলতে চাইছে, কী বোঝাতে চাইছে— এক কথায় সন্তানের সঙ্গে বাকিদের যোগাযোগের মাধ্যম ছিলেন এক মাত্র তিনিই। মুকেশের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সেই দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পায় সাকুবাইয়ের।
কিন্তু শুক্রবার মুকেশের মৃত্যুতে দু’চোখে অন্ধকার নেমে আসে। যে সন্তানকে এত বছর ধরে ছায়ার মতো আগলে রেখেছেন, তাঁর মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তিনি। সন্তানের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রাণ হারান মা-ও। মুকেশের দাদা জানিয়েছেন, ভাইয়ের আচমকা মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি মা। সেই ধাক্কা সামাল দিতে না পেরে কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁরও। এর পরে এলাকাবাসী এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের সিদ্ধান্তে মা এবং ছেলের শেষকৃত্য একসঙ্গে সম্পন্ন করা হয়।