—প্রতীকী ছবি।
নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই-এর এক নেতাকে গ্রেফতার করল বিহার পুলিশ। একাধিক নাশকতামূলক কার্যকলাপে অভিযুক্ত ইয়াকুব খান ওরফে সুলতান নামে ওই ব্যক্তি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিল বলে বিহার পুলিশ জানিয়েছে। পূর্ব চম্পারন জেলার উত্তর গোবিন্দরা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করার পরে সুলতানকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিহার পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা জানিয়েছে, ফুলওয়ারি শরিফ এলাকায় সুলতান-সহ মোট ছ’জন পিএফআই সদস্য সক্রিয় ছিলেন। তাঁরা নিয়মিত সমাজমাধ্যমে প্ররোচণামূলক পোস্ট করতেন। মার্চ মাস থেকে অভিযান চালিয়ে এঁদের মধ্যে তিন জনেক গ্রেফতার করা হয়েছে। মার্চ মাসে, ইরশাদ আলমকে পূর্ব চম্পারনে গ্রেফতার করা হয়। একই জেলার মুমতাজ আনসারি জুন মাসে তামিলনাড়ুতে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ধরা পড়ে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কট্টরপন্থী দল পিএফআই এবং তার ঘনিষ্ঠ একাধিক সংগঠনকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এ ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। অল ইন্ডিয়া ইমামস্ কাউন্সিল, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উওমেন’স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রেহাব ফাউন্ডেশন (কেরালা)-র মতো সংগঠন ছিল সেই তালিকায়।
পিএফআই এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি), জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)-র সঙ্গে তাদের যোগসূত্র আছে। নির্দেশিকায় বলা হয়, পিএফআই এবং এর সহযোগী দলগুলি যে বেআইনি কার্যকলাপের যুক্ত আছে, তা দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। এই দলগুলি সক্রিয় থাকলে দেশের শান্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর পরে কয়েক মাস ধরে দেশ জুড়ে অভিযান চালিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়েও পিএফআই এবং তার ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। এর আগেও বিহারে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে পিএফআই নেতা-কর্মীদের।