Reservation for Kannadigas

কন্নড়ভাষীদের সংরক্ষণ বিলে বিতর্ক, কর্নাটকে পিছু হটল সিদ্দারামাইয়া সরকার

তাঁর ওই পোস্টের পরেই কর্নাটকের বিভিন্ন অংশ, বিশেষত রাজ্যের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের মরাঠিভাষী অঞ্চল এবং পূর্বের তেলুগুপ্রধান অঞ্চলে বিক্ষোভের খবর আসে। পরে পোস্টটি মুছে দেন সিদ্দারামাইয়া।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ২৩:৫৮
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ছবি পিটিআই।

বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের সংরক্ষণের জন্য নতুন আইন চালুর ইঙ্গিত দিয়েছিল কর্নাটকের কংগ্রেস পরিচালিত সরকার। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এক্স হ্যান্ডলে সেই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছিলেন। এই ঘোষণার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা থেকে কন্নড় সংরক্ষণ নিয়ে আপত্তির সুর শোনা গিয়েছে। এর পরেই পিছু হটল সিদ্দারামাইয়া সরকার। বিধানসভায় পেশ করার আগে আরও এক বার বিলটি নিয়ে পর্যালোচনা করবে রাজ্য সরকার।

Advertisement

বুধবার সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিতে কন্নড়ভাষীদের সংরক্ষণ নিয়ে পোস্ট করেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। এক্স হ্যান্ডলে ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘কর্নাটকে ‘সি’ এবং ‘ডি’ গ্রুপের ১০০ শতাংশ সরকারি চাকরিই কন্নড়ভাষীদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে।’’ তাঁর ওই পোস্টের পরেই কর্নাটকের বিভিন্ন অংশ, বিশেষত রাজ্যের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের মরাঠিভাষী অঞ্চল এবং পূর্বের তেলুগুপ্রধান অঞ্চলে বিক্ষোভের খবর আসে। পরে পোস্টটি মুছে দেন সিদ্দারামাইয়া।

এ দিনই বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের সংরক্ষণের জন্য নতুন আইন চালুর ইঙ্গিত দিয়েছে কর্নাটকের কংগ্রেস পরিচালিত সরকার। প্রস্তাবিত বিলে বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য ৭০ শতাংশ কর্মী এবং ৫০ শতাংশ আধিকারিকের পদ কন্নড়ভাষীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা বাধ্যতামূলক হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন সে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ লাড। তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। শীঘ্রই বিল বিধানসভায় পেশ করা হবে।’’

এই ঘোষণার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা কন্নড় সংরক্ষণ নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করে। তাদের দাবি, এই বিল পাশ হলে তা রাজ্যের প্রযুক্তি শিল্পের বৃদ্ধিকে স্তিমিত করে দেবে এবং চাকরির বাজারকে প্রভাবিত করবে। ন্যাসকম তাদের বিবৃতিতে বলে, “আমরা এই বিলের প্রস্তাবগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং রাজ্য সরকারকে বিলটি প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করছি। এই বিল পাশ হলে রাজ্যের অগ্রগতি বিপরীতগামী হবে। বিভিন্ন সংস্থা তাদের ব্যবসা সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইবে।”

উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বিল প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “কর্নাটকে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এসেছিল কন্নড়দের মর্যাদা সুনিশ্চিত করার জন্য। সেটা ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড, কন্নড় পতাকা, কন্নড় ভাষা, সংস্কৃতি, নথি বা চাকরিতে নির্দিষ্ট শতাংশ সংরক্ষণের বিষয় হোক না কেন।” কিন্তু বিক্ষোভের পরে সুর বদল করতে বাধ্য হন শিবকুমার। তিনি বলেন, “আমদের আরও আলোচনা করতে হবে। তার পরেই ঠিক করতে হবে স্থানীয়দের জন্য কী করা যায়।”

Advertisement
আরও পড়ুন