সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের নেতৃত্ব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা হাসনের কেএমএফ দুধ উৎপাদন কেন্দ্রে যান। ফাইল ছবি।
বিতর্কের মূলে গত বুধবারের একটি বিজ্ঞাপন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতের আমূল দুগ্ধ সংস্থার সেই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল— ‘শীঘ্রই বেঙ্গালুরুতে আসছি।’ ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সেই ঘোষণা থেকে পিছু হটেননি আমূল কর্তৃপক্ষ। আর তা নিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে ক্রমশ পারদ চড়ছে কর্নাটক রাজনীতিতে।
The #Amul family is bringing in some Taaza into #Bengaluru city. More updates coming in soon. #LaunchAlert pic.twitter.com/2ZjN0bKkdX
— Amul.coop (@Amul_Coop) April 5, 2023
কর্নাটকের সরকারি দুগ্ধ সংস্থা ‘কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন’ (কেএমএফ)। তাদেরই একটি ব্র্যান্ড ‘নন্দিনী’ কর্নাটক জুড়ে ব্যাপক ব্যবসা করে। বিধানসভা ভোটের আগে কন্নড় ভাবাবেগ উস্কে দিয়ে কংগ্রেস, জেডিএস অভিযোগ করে, গুজরাতের দুগ্ধ প্রস্তুতকারক সংস্থা আমূলকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে নন্দিনীকে আমূলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিজেপি।
সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের নেতৃত্ব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা হাসনের কেএমএফ দুধ উৎপাদন কেন্দ্রে যান। সেখানে ‘নন্দিনী’ দুধ পান করে প্রতীকী বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শিবকুমার বলেন, ‘‘কর্নাটকের ডেয়ারি শিল্পকে ধ্বংস করে মোদীর রাজ্যের আমূলকে তুলে ধরছে বিজেপি।’’ যদিও বিজেপি শাসিত কর্নাটক সরকার এই অভিযোগ খারিজ করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমাজমাধ্যমে পোস্টের বন্যা চলছে এখনও। হ্যাশট্যাগ দিয়ে বয়কট আমূল এবং গো ব্যাক আমূল ট্রেন্ড চালানো হচ্ছে টুইটারে।