বেলেঘাটায় গান্ধী-স্মরণে বামফ্রন্টের নেতৃত্ব। —নিজস্ব চিত্র।
বি আর অম্বেডকর মিলিয়ে দিয়েছিলেন সম্প্রতি। মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীতে এসে আবার পথ আলাদা হয়ে গেল! গান্ধীর হত্যা-দিবস আলাদা ভাবেই পালন করল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। দু’পক্ষের কেউই অন্য পক্ষকে এ বার আমন্ত্রণ জানায়নি। গত কয়েক বছর দু’পক্ষের একসঙ্গেই বেলেঘাটার গান্ধী ভবনে কর্মসূচি রেওয়াজ হয়ে গিয়েছিল।
এ বার আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন হলেও আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধু দু’পক্ষের মূল সুর অবশ্য ছিল এক। বেলেঘাটার গান্ধী ভবনের সামনে বৃহস্পতিবার গান্ধী-স্মরণে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, দলের পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র ও বামফ্রন্টের শরিক দলের নেতৃত্ব।
‘গান্ধীর হত্যাকারীরা’ এখন দেশের ক্ষমতায় এসে হিন্দুত্বের কর্মসূচি রূপায়ণ এবং সংবিধানে স্বীকৃত গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষার ধারণাকে নস্যাৎ করতে চাইছে বলে সরব হয়েছেন বাম নেতৃত্ব। একই নির্যাস কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্যেরও। মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নীচে স্মরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তী প্রমুখ। বড়বাজারে এ দিন গান্ধী-স্মরণে সভা করেছে প্রদেশ কিসান কংগ্রেসও। যোগ দিয়েছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান তপন দাস, প্রদেশ কংগ্রেসের সৌরভ ঘোষ, সুমন রায়চৌধুরী, সুশীল সিংহেরা। গান্ধীকে স্মরণ করে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ’ও।