Karnataka Assembly Election 2023

বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েই টিকিট পেলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শেট্টার

বিধানসভা ভোটের আগে লিঙ্গায়েত জনগোষ্ঠীর প্রভাবশালী নেতা শেট্টারের দলবদল কংগ্রেসকে উত্তর কর্নাটকে সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করছেন ভোট পণ্ডিতদের একাংশ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৫৫
Karnataka Assembly Election 2023: Congress fields former BJP CM Jagadish Shettar from Hubli-Dharwad Central

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে দলে স্বাগত জানাচ্ছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারকে। ফাইল চিত্র।

বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে রবিবার বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘হাত ধরেছিলেন’। মঙ্গলবার কংগ্রেসের প্রার্থিতালিকায় ঠাঁই পেলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার।

মঙ্গলবার কংগ্রেসের তরফে চতুর্থ তথা শেষ দফার প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ বারের বিজেপি বিধায়ক শেট্টারকে তাঁর পুরনো কেন্দ্র হুবলি-ধারওয়াড় সেন্ট্রালেই প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। শেট্টারের কাকা সদাশিব ১৯৬৭ সালের হুবলি কেন্দ্র থেকে জনসঙ্ঘের প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন। তাঁর বাবা এসএস শেট্টার ছিলেন, ওই শহরের মেয়র। দক্ষিণ ভারতের প্রথম জনসঙ্ঘের নেতা হিসাবে মেয়র হয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

বিধানসভা ভোটের লিঙ্গায়েত জনগোষ্ঠীর প্রভাবশালী নেতা, হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্রের ৬ বারের বিধায়ক শেট্টারের দলবদল কংগ্রেসকে উত্তর কর্নাটকে সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করছেন ভোট পণ্ডিতদের একাংশ। ওই এলাকায় লিঙ্গায়েত ভোট ২০ শতাংশেরও বেশি। মঙ্গলবার চতুর্থ দফায় ৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের বিরুদ্ধে শিগ্গাঁও কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে দলের সংখ্যালঘু নেতা মহম্মদ ইউসুফ সাভানুরকে।

প্রসঙ্গত, বিজেপির টিকিট না পেয়ে শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা তিন বারের বিধায়ক লক্ষ্মণ সড়াভি। সে সময় শিবকুমার বলেছিলেন, ‘‘আরও ১০-১২ জন বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছেন।’’ লক্ষ্মণকে বেলগাভী জেলার অথানি কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস। উত্তর কর্নাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা লক্ষ্মণ কর্নাটক বিজেপির অন্দরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ‘বিএস ইয়েদুরাপ্পার ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ছিলেন। অন্য দিকে, জগদীশের পরিচতি ‘ইয়েদুরাপ্পা বিরোধী’ হিসাবে।

২০১১ সালে দুর্নীতি মামলার জেরে ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সদানন্দ গৌড়াকে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই দু’জনের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। এর পর বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী করেন ‘ইয়েদুরাপ্পা বিরোধী’ জগদীশকে। প্রতিবাদে বিজেপি ছেড়ে কর্নাটক জনতা পার্টি গড়ে ২০১৩ সালের বিধানসভা ভোটে লড়েন ইয়েদুরাপ্পা। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশের নেতৃত্বে লড়ে কর্নাটকে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল বিজেপিকে।

আরও পড়ুন
Advertisement