Kannad Actress Ranya Rao Smuggling Case

ভাঙা উচ্চারণে নির্দেশ দিত অচেনা পুরুষ কণ্ঠ! সোনা পাচার মামলায় রান্যার বয়ান ঘিরে রহস্য

গত সপ্তাহে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতরের (ডিআরআই) হাতে ধরা পড়েন অভিনেত্রী রান্যা রাও। সেই মামলার তদন্তেই এ বার উঠে এল নতুন তথ্য।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৬:৩২
অভিনেত্রী রান্যা রাও।

অভিনেত্রী রান্যা রাও। — ফাইল চিত্র।

সম্প্রতি সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। গত সপ্তাহে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতরের (ডিআরআই) হাতে ধরা পড়েন তিনি। সেই মামলার তদন্তেই এ বার উঠে এল নতুন তথ্য। ডিআরআই জানিয়েছে, জেরায় রান্যা বলেছেন, তাঁর এ বারের দুবাই ভ্রমণ আদৌ পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। বরং যাত্রার ঠিক আগে উড়ো নম্বর থেকে ফোন করে নির্দেশ দিয়েছিল অপরিচিত ‘পুরুষ কণ্ঠ’!

Advertisement

রান্যা জানিয়েছেন, গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরু থেকে দুবাই যান তিনি। তবে এ বারের যাত্রার শুরুটা হয়েছিল রহস্যময় একটি কলের মাধ্যমে। তাঁর দাবি, গত ১ মার্চ তাঁর কাছে একটি অজানা বিদেশি নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এক পুরুষ তাঁকে নির্দেশ দেন, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালের গেট থেকে একটি ‘প্যাকেট’ সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দিতে হবে। ফোনগুলি সন্দেহজনক হলেও গোপনীয়তা বজায় রাখতে পুলিশকে জানাননি তিনি।

দুবাই বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বর্ণনাও দিয়েছেন রান্যা। তাঁর দাবি, অজ্ঞাতপরিচয় ওই পুরুষের উচ্চারণ অনেকটা আফ্রিকান-আমেরিকানদের মতো ছিল। ওই ব্যক্তি তাঁকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে সাদা পোশাক পরা এক ‘লম্বা, সুগঠিত চেহারার ব্যক্তির’ সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন। ওই দ্বিতীয় ব্যক্তিই রান্যাকে ত্রিপলে মোড়ানো দু’টি প্যাকেট দেন। এর পর বিমানবন্দরের শৌচাগারে ঢুকে রান্যা দেখেন, প্যাকেটগুলির মধ্যে রয়েছে ১২টি সোনার বার! তার পর ইউটিউব ভিডিও অনুসরণ করে, আঠালো টেপ এবং টিস্যু পেপারের সাহায্যে কোমরের চারপাশে বেঁধে ফেলেন সোনার বারগুলি। আরও কিছু বার নিজের জুতোর তলার নীচে এবং জিন্সের পকেটে লুকিয়ে রাখেন।

বেঙ্গালুরুতে নামার পর রান্যাকে টোল গেট থেকে বেরিয়ে সার্ভিস রোডের কাছে অপেক্ষারত একটি অটোতে ওঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই সোনার বারগুলি হস্তান্তর করার কথা ছিল তাঁর। তবে তার আগেই ধরা পড়ে যান অভিনেত্রী। ওই অটোর কোনও নম্বরও আগে থেকে জানানো হয়নি তাঁকে। রান্যার বয়ানের ভিত্তিতে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে ডিআরআই।

গত ৫ মার্চ গ্রেফতার হন রান্যা। তল্লাশিতে রান্যার জামা এবং বেল্টের মধ্যে থেকে বেরিয়েছিল অন্তত ১৪ কেজি সোনা! রান্যার উপর বেশ কয়েক দিন ধরেই নজর ছিল গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, গত দু’সপ্তাহের মধ্যে অন্তত চার বার দুবাই গিয়েছিলেন অভিনেত্রী! অথচ গোয়েন্দারা খবর নিয়ে জানতে পারেন, দুবাইয়ে রান্যার পরিবারের কোনও সদস্য থাকেন না। তা হলে কেন এত ঘন ঘন দুবাই যাচ্ছিলেন তিনি? সেই সন্দেহের বশেই বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওত পেতে ছিলেন ডিআরআইয়ের কর্তারাও। বিমানবন্দর থেকে বার হওয়ার সময়েই রান্যাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা।

Advertisement
আরও পড়ুন