রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে পদ্মশ্রী কঙ্গনা রানাউত। ফাইল চিত্র।
ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের পদ্মশ্রী সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবি উঠল। কংগ্রেস, শিবসেনা, এনসিপি, আম আদমি পার্টির মতো বিরোধীদের পাশাপাশি বিজেপি-র সহযোগী হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা (হাম)-ও কঙ্গনার পদ্মশ্রী প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে। কঙ্গনার সমালোচনা করেছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধীও।
সদ্য পদ্মশ্রী-প্রাপক কঙ্গনা একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘১৯৪৭ সালে পাওয়া স্বাধীনতা আসলে স্বাধীনতা নয়। ছিল ভিক্ষা। স্বাধীনতা তো ২০১৪ সালে এসেছে।’’ নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্ব প্রাপ্তির সাল হিসেবেই তিনি ২০১৪-কে চিহ্নিত করেন। বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন কঙ্গনা। ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে তাঁর মন্তব্য তৈরি করেছে নতুন বিতর্ক।
কঙ্গনাকে পদ্ম-সম্মাননা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘এমন সম্মান দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন করা উচিত। তাঁরা যাতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অসম্মান করতে না পারেন তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’’
এনসিপি নেতা নবাব মালিকের মন্তব্য, ‘‘দেশের স্বাধীনতা নিয়ে এমন মন্তব্য করার আগে কঙ্গনা নিশ্চয়ই তাঁর হিমাচল প্রদেশের বাড়িতে বসে ‘মালানা ক্রিম’ (হিমাচলের মালানা গ্রামে তৈরি মাদক) সেবন করেছিলেন।’’
শিবসেনার তরফে কঙ্গনার পদ্মশ্রী প্রত্যাহারের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের দাবি তোলা হয়েছে। আম আদমি পার্টির মহারাষ্ট্র শাখা জানিয়েছে, বলিউডের অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তাঁরা মুম্বই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করবে। বিজেপি-র সহযোগী ‘হাম’-এর সভাপতি তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝিঁ কঙ্গনাকে বয়কটের দাবি তুলেছেন শুক্রবার।
কঙ্গনার ওই আপত্তিকক মন্তব্যের পরেই বৃহস্পতিবার বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধী টুইটারে লিখেছিলেন, ‘মহাত্মা গাঁধীর ত্যাগকে খাটো করা, তাঁর হত্যাকারীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য দেওয়ার কথা তো ছেড়েই দিলাম। এ বার মঙ্গল পাণ্ডে, রানি লক্ষ্মীবাঈ, ভগৎ সিংহ, চন্দ্রশেখর আজাদ, সুভাষচন্দ্র বসু-সহ লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করা হচ্ছে। এই ধরনের চিন্তাভাবনাকে পাগলামি বলব না কি রাজদ্রোহ বলব?’