সারা বছর একই ভাবে পোষ্যের গায়ের লোম ঝরে না। ছবি: সংগৃহীত।
আপনার মাথার চুল আর পোষ্য কুকুরের গায়ের লোম সমানতালে ঝরছে!
বিছানা-বালিশ, কার্পেট, ঘরের আনাচকানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে দলা পাকানো লোম। মাথার কেশ হোক বা দেহের পশম, প্রকৃতির নিয়মে তা ঝরে পড়বেই। প্রতি দিন ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া যেমন স্বাভাবিক। কিন্তু, কুকুরদের লোমের ক্ষেত্রে তেমন কোনও মাপকাঠি আছে কি? পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, সংখ্যাবিচারে তা বলা না গেলেও সারমেয়দের লোম ঝরার কিন্তু নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কোনও কারণ ছাড়া সারা বছর একই ভাবে তাদের গায়ের লোম ঝরে পড়তে পারে না। তবে শারীরিক কিংবা মানসিক কোনও সমস্যা হলে সে কথা আলাদা।
কী কী কারণে পোষ্য কুকুরের রোম ঝরতে পারে?
১) কুকুরদের এমন কিছু প্রজাতি রয়েছে, সাধারণ ভাবেই যেগুলির শরীর থেকে লোম ঝরে বেশি। সে ক্ষেত্রে আলাদা করে কিছু করার থাকে না।
২) শীত আসার আগে এবং পরে লোম ঝরার পরিমাণ স্বাভাবিক নিয়মেই বেড়ে যায়। তা নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ নেই।
৩) শারীরিক কোনও সমস্যা হলে কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাসেও লোম ঝরতে পারে। এ ছাড়া পরজীবী আক্রমণে ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হলেও কুকুরদের লোম উঠে যায়।
৪) এ ছাড়া বয়সজনিত কারণেও কুকুরদের লোম ঝরতে পারে। তবে এই সমস্যা যদি বয়সে ছোট বা কুকুরছানার হয়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫) মানুষের মতো পোষ্যেরাও মানসিক চাপ, উদ্বেগের শিকার হয়। নিরাপত্তার অভাব কিংবা একাকিত্ব বোধ করলে মানসিক এবং শারীরিক নানা রকম পরিবর্তন আসতে পারে। সেখান থেকেও লোম ঝরার পরিমাণ বেড়ে যায়।
লোম ঝরার পরিমাণ কমাতে কী কী করণীয়?
১) দিনে অন্তত তিন বার ব্রাশ দিয়ে ভাল করে লোম আঁচড়ে দিতে হবে। তবে ভিজে লোম আঁচড়ালে কিন্তু বিপদ আছে। ভাল করে লোম শুকিয়ে তার পর ব্রাশ করা যেতে পারে।
২) সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন দিন স্নান করানো প্রয়োজন। স্নানের সময়ে সাধারণ ভাবে ঝরে যাওয়া লোম অনেকটাই বেরিয়ে যায়। পোষ্যদের জন্য নানা রকম শ্যাম্পু পাওয়া যায়। সেগুলিও লোম ঝরা আটকাতে অনেকটা সাহায্য করে।
৩) পোষ্য কুকুরের লোম ঝরা আটকাতে প্রোটিন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবারও খাওয়াতে হবে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তবে তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ানোই ভাল।
৪) শরীরে জলের অভাব যেন না থাকে, সে দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। ডিহাইড্রেশন থেকে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সে কারণেও কিন্তু লোম ঝরে।
৫) পোষ্য সারমেয়টি যেন কোনও ভাবে মানসিক চাপ বা উদ্বেগের মধ্যে না থাকে, সে বিষয়ে নজর দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু অভিভাবকের।