বিজেপির সমর্থন নিয়ে মেঘালয়ে আরও এক বার সরকার গড়ার পথে কনরাড সাংমা। ফাইল চিত্র।
ত্রিশঙ্কু মেঘালয় বিধানসভায় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগোল। ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই, শুক্রবার দুপুরে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়ার বিষয়ে সিলমোহর দিলেন এনপিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড। শুক্রবার প্রথা মেনে রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন কনরাড। একই সঙ্গে বিধানসভার একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান হিসাবে নতুন সরকার গড়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। রাজ্যপালকে কনরাড জানান, বিজেপির ২ জন বিধায়ক এবং বাঘমারার নির্দল বিধায়ক তাঁকে সমর্থন করতে রাজি আছেন।
বেশ কয়েক জন এনপিপি বিধায়ককে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান কনরাড। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির ২ বিধায়ক এবং ওই নির্দল বিধায়কও। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে আরও ২ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন কনরাডের। বৃহস্পতিবার রাতেই সমর্থন চেয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপি নেতা কনরাড। বিজেপি সূত্রের খবর, শাহের তরফে সাংমাকে নাকি এই মর্মে আশ্বাস দেওয়া হয় যে, আরও এক বার সাংমাকেই মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চায় কেন্দ্রের শাসকদল।
৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় ২৬টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে কনরাডের দল এনপিপি। তবে সরকার গঠনের জন্য আরও ৫টি আসনের প্রয়োজন তাদের। অন্য দিকে, বিজেপি জিতেছে ২টি আসন। আপাতত নির্দল বিধায়কদের সাহায্যেই প্রয়োজনীয় আসনসংখ্যায় পৌঁছতে চাইছে এনপিপি। ২০১৮ সালে জোট গড়ে সরকার গড়েছিল বিজেপি-এনপিপি। তবে দুর্নীতি-সহ নানা বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে এই নির্বাচনে আলাদা ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দুই দল। তবে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেই আরও এক বার বিজেপির হাত ধরার ইঙ্গিত দেন কনরাড। এমনকি ভোট পরবর্তী জোটের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতেই গত মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে কনরাডের সঙ্গে বৈঠক করেন অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।