—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নোংরা শৌচাগারের জন্য ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হল রেলকে। এক যাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমনই নির্দেশ দিল দিল্লির একটি জেলা উপভোক্তা কমিশন। ওই যাত্রীর অভিযোগ ছিল, ট্রেনের নোংরা শৌচাগার এবং জলের অভাবের জন্য মানসিক এবং শারীরিক সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। কেন টাকা খরচ করে টিকিট কেটে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রেলের বিরুদ্ধে উপভোক্তা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নিউ দিল্লি স্টেশন থেকে ইনদওর যাওয়ার জন্য একটি দূরপাল্লার ট্রেনে উঠেছিলেন অভিযোগকারী। যাতে আরাম করে যেতে পারেন তার জন্য এসি কামরার টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু, ওই ট্রেনযাত্রায় তাঁর অভিজ্ঞতা অত্যন্ত খারাপ ছিল। অভিযোগপত্রে তিনি জানান, সকাল ৮টায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্য কামরা লাগোয়া শৌচাগারে যান। কিন্তু ঢুকেই তাঁর গা ঘিনঘিন করে ওঠে। তিনি দেখেন অপরিচ্ছন্ন শৌচাগারে হাত ধোওয়ার মতো জলও নেই। বেসিনে নোংরা ভর্তি। তিনি এ নিয়ে অভিযোগ করার জন্য কাউকে না-পেয়ে রেলের অনলাইন পোর্টালে ঘটনার বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। সঙ্গে ওই শৌচাগারের ছবিও দেন। এর মধ্যে সকাল ১০টায় ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছে যায়। কিন্তু তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও জবাব দেয়নি রেল। এর পর উপভোক্তা আদালতের দ্বারস্থ হন ওই যাত্রী। সেখানে তিনি জানান প্রকৃতির ডাক অগ্রাহ্য করে চরম কষ্টে তাঁকে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় কাটাতে হয়েছে। ওই দিন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। যে কাজে তিনি ইনদওর গিয়েছিলেন, তা পণ্ড হয়। এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রেলকে।
সম্প্রতি উপভোক্তা কমিশন ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রেলের বক্তব্য শুনতে চায়। কিন্তু সেখান থেকে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর মেলেনি। অন্য দিকে, অভিযোগকারীর আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘‘পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে রেল পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’’ দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর উপভোক্তা কমিশন রেলকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, ওই মামলার খরচ বাবদ আরও ১০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে রেলকে। সব মিলিয়ে ওই ৪০ হাজার টাকা দিতে রেল গড়িমসি করলে পরে ৭ শতাংশ সুদ-সহ টাকা দিতে হবে।