যোগী আদিত্যনাথ। ছবি: পিটিআই।
অযোধ্যা শহর এখন যেমন রয়েছে তেমনটাই থাকবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিশেষ অতিথি ছাড়া আর কেউ শহরে প্রবেশ করতে পারবেন না। অযোধ্যায় ঢোকার সব রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। আগেই বন্ধ হয়েছে ট্রেন।
সোমবার সকাল থেকে অতিথিরা আসতে শুরু করবেন। আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দিবেন পটেল। তবে যোগী মন্ত্রিসভার সব সদস্য আসছেন না। দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠকের অযোধ্যা আসার সম্ভাবনা কম। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। তার আগের দিন গোটা মন্ত্রিসভাকে নিয়ে অযোধ্যায় আসবেন যোগী। রামভূমেই বসতে পারে মন্ত্রিসভার বৈঠক। তার পরে সকলে মিলে রামলালার দর্শনে যাবেন নতুন মন্দিরে। সবাই হনুমানগড়ি মন্দিরেও পুজো দিতে যাবেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সূত্রে এটাও জানানো হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী সোমবার অযোধ্যায় থাকবেন ঘণ্টা চারেক। মন্দির উদ্বোধনের পরে তিনিও হনুমানগড়ি মন্দির এবং জানকী ধামে যেতে পারেন। অন্য অতিথিরা সোমবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে আসবেন। মোট ৯০০ ভিআইপি এবং ৬০ জনের মতো ভিভিআইপি আসার কথা। এঁরা সকলেই আসবেন বিমানে। অনেকেই আসবেন চাটার্ড বিমানে। কিন্তু অযোধ্যার বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ আটটি বিমান দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এর জন্য রাজ্যের অন্য বিমানবন্দর তো বটেই এক হাজার কিলোমিটারের মধ্যে অন্য রাজ্যেরও বিমানবন্দরে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের নামিয়ে বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের বিমানবন্দরে চলে যাবে। নির্দিষ্ট সময়ে অযোধ্যায় ফিরে আসবে এবং উড়ে যাবে।
অযোধ্যা শহরের ভিতরে মন্দির দর্শনের জন্য যে বাস সার্ভিস চালু রয়েছে সেটাও রবিবার বন্ধ হয়ে যাবে। ফের চালু হবে মঙ্গলবার। তবে এর পরে আরও সরকারি বাস নামবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার লখনউ থেকে পর্যটকদের অযোধ্যা ভ্রমণের জন্য নিয়ে আসবে। এর জন্য লখনউয়ে রাজ্য সরকারের বাস টার্মিনাসে নতুন করে সাজানো হচ্ছে কিছু বাস। এই বাসে চেপে পর্যটকেরা সারা দিন অযোধ্যা ঘুরেফিরে যেতে পারবেন।
শহর জুড়ে এখন সোমবারের অপেক্ষা। ভিতরে প্রবেশের অধিকার না থাকলেও বিভিন্ন রাস্তায় বড় পর্দায় গোটা অনুষ্ঠান দেখানো হতে পারে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য তার প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না। তবে অযোধ্যাবাসী অন্য এক ছবি দেখার জন্য মুখিয়ে। সোমবার সকাল থেকে অযোধ্যার আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি শুরু হবে মন্দির চত্বরে। সেটা চলার কথা বুধবার পর্যন্ত। হেলিকপ্টার থেকে ফুল ছড়ানোর দায়িত্ব পেয়েছে গুজরাতের একটি সংস্থা।