Indian Railways

স্টেশন পেরিয়ে গেলেই এ বার থেকে আপনি বিনা টিকিটের যাত্রী, নয়া নিয়ম আনছে রেল

যদি কোনও যাত্রী নির্দিষ্ট স্টেশনে ট্রেনে উঠতে না পারেন, তবে তাঁকে অনুপস্থিত ধরে নিয়ে ট্যাবের মাধ্যমে ওই আসন অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২২ ০৮:২২

প্রতীকী ছবি।

সিনেমার পর্দায় ‘সোনার কেল্লা’ ছবিতে ‘দুষ্টু লোক’ মন্দার বোসের চক্রান্তে জয়সলমের যাওয়ার ট্রেন ফস্কে গিয়েছিল ফেলুদার। উটের পিঠে চড়ে মরুভূমির বুকে রুমাল নেড়ে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করলেও সাফল্য আসেনি।

রেলের নতুন নিয়মে অবশ্য ওই ট্রেন থামলেও সেখানে বিনা টিকিটের যাত্রী হিসেবে গণ্য হতেন ফেলুদা, তোপসে এবং লালমোহনবাবু। তাঁদের সংরক্ষিত আসনে সফর করতেন অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে আসন নিশ্চিত হওয়া অন্য কোনও যাত্রী।

Advertisement

রেল সূত্রে খবর, সংরক্ষিত আসনের তালিকা দূরপাল্লার ট্রেনের কামরার বাইরে দরজার পাশে সাঁটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা আগেই উঠে গিয়েছে। এ বার টিকিট পরীক্ষকদের হাতে ছাপানো তালিকা দেওয়ার পদ্ধতিতেও ইতি টানতে চলেছে রেল। তার বদলে টিকিট পরীক্ষার জন্য তাঁদের হাতে থাকবে ট্যাব। নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়া মাত্র সংরক্ষিত কামরায় গিয়ে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষক। যদি কোনও যাত্রী নির্দিষ্ট স্টেশনে ট্রেনে উঠতে না পারেন, তবে তাঁকে অনুপস্থিত ধরে নিয়ে ট্যাবের মাধ্যমে ওই আসন অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ ওই আসন আরএসি (রিজার্ভেশন এগেনস্ট ক্যানসেলেশন) কোটায় থাকা তালিকাভুক্ত যাত্রীদের কাছে চলে যাবে। যদি তার পরেও আসন থেকে যায়, তা হলে সে ক্ষেত্রে রিমোট লোকেশন ওয়েটিং লিস্ট বা ওই একই ট্রেনের দূরবর্তী স্টেশনের যাত্রী যাঁদের টিকিট নিশ্চিত হয়নি, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে তাঁরা সুযোগ পাবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, হাওড়া স্টেশন থেকে দূরপাল্লার কোনও ট্রেন ছাড়ার পরে যদি দেখা যায় সংরক্ষিত কামরার নির্দিষ্ট কোনও আসনের যাত্রী এসে পৌঁছননি, তবে ট্যাবের মাধ্যমে ওই আসনের সংশ্লিষ্ট যাত্রীর অনুপস্থিত থাকার বার্তা তৎক্ষণাৎ সার্ভারকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এর ফলে ওই আসন নতুন করে বরাদ্দ হওয়ার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে।

রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার টিকিট পরীক্ষককে ওই ট্যাব দেওয়া হয়েছে। আরও ১৮ হাজার টিকিট পরীক্ষকের কাছে ট্যাব পৌঁছে দেওয়া হবে। এর ফলে কামরায় টিকিট পরীক্ষার বিষয়টি পুরোপুরি ডিজিটাল এবং যন্ত্রনির্ভর হয়ে যাবে। যদি কোনও যাত্রী একেবারে শেষ মুহূর্তে ট্রেনে উঠতে গিয়ে অন্য কামরায় উঠে পড়ে থাকেন, তবে তাঁকে তৎক্ষণাৎ ওই কামরার কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষককে সেটা জানাতে হবে। তিনি সে ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। রেল কর্তৃপক্ষের নতুন ব্যবস্থায় দুর্নীতি কমার পাশাপাশি যাত্রীদের সফরের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement