১১ জন জলদস্যুকে আটক করেছে ভারতীয় নৌসেনা। ছবি: সংগৃহীত।
আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল ইরানের পতাকাবাহী মাছধরার একটি নৌকা। অভিযান চালিয়ে নৌকাটিকে উদ্ধার করার পাশাপাশি সেটিতে থাকা ১৯ জন পাকিস্তানিকে উদ্ধার করল ভারতের নৌসেনা। এর আগে সোমালিয়া উপকূল থেকে ইরানের পতাকাবাহী একটি ভেসেলকেও জলদস্যুদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করেছিল নৌসেনা।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। মঙ্গলবার নৌসেনার মুখপাত্রের তরফে এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনা হয়। সেখানে বলা হয়, ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার নৌকা ‘আল নইমি’ যখন সোমালিয়ার পূর্ব উপকূল ধরে এগোচ্ছিল, সেই সময় হঠাৎই সেটির উপরে চড়াও হয় ১১ জন সশস্ত্র জলদস্যু। তার পরই নৌকা এবং নৌকার যাত্রীদের উদ্ধারে তৎপর হয় নৌসেনা। ভারতীয় নৌসেনার রণতরী আইএনএস সুমিত্রা নৌকাটির পিছু ধাওয়া করে। ছিনতাই হওয়া জাহাজটিকে উদ্ধার করা হয়। জলদস্যুদের হটিয়ে উদ্ধার করা হয় ১৯ জন পাকিস্তানি নাগরিককেও।
নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ আরব সাগরে, কোচি উপকূল থেকে প্রায় ৮৫০ নটিক্যাল মাইল মাইল দূরে বিশেষ অভিযানে গিয়ে মাছ ধরার নৌকাটিকে উদ্ধার করা হয়। কিছু দিন আগেই সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে এমভি ইমান নামের একটি মাছ ধরার ভেসেলকে উদ্ধার করেছিল আইএনএস সুমিত্রা নামের রণতরীটি। সে বার ভেসেলটিতে থাকা ১৭ জনকেও উদ্ধার করা হয়। কয়েক দিন আগে এডেন উপসাগর এবং সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে জলদস্যু বিরোধী অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় নৌসেনা।
ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাতের পর ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুথি জঙ্গিরা লোহিত সাগরে ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছে। ‘আক্রান্ত’ হয়েছে বিভিন্ন দেশের পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ। সেখানেও জাহাজগুলিকে নিরাপত্তা দিতে এগিয়ে এসেছে ভারতের নৌসেনা।