Igla-S Air Defence System

নিমেষে ধ্বংস শত্রুবিমান! ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার সঙ্গে ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি ভারতের

ইগলা-এসের পাল্লা ছ’কিলোমিটার। হেলিকপ্টার বা নীচু দিয়ে ওড়া যুদ্ধবিমানকে ‘থার্মাল সেন্সর’-এর সাহায্যে খুঁজে নিয়ে ধ্বংস করতে পারে এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:১৩
ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্র।

ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্র। — ফাইল চিত্র।

ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই রাশিয়ার সহযোগিতায় স্বল্পপাল্লার বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার আপত্তি উড়িয়েই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মস্কোর সঙ্গে গত দেড় বছর ধরে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিল নয়াদিল্লি। এ বার নতুন অস্ত্র-চুক্তি বিষয়টিকে ‘অন্য মাত্রা’ দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আশির দশকে আফগানিস্তান যুদ্ধে সোভিয়েত যুদ্ধবিমানের ‘মৃত্যুবাণ’ হয়ে উঠেছিল আমেরিকার তৈরি স্ট্রিংগার ক্ষেপণাস্ত্র। তারই রুশ সংস্করণ ইগলা-এস বানাতে চলেছে ভারত। রুশ সংবাদ সংস্থা ‘তাস’ জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা সই হয়েছে। শুধু আমদানি নয়, নির্মাণকারী রুশ সংস্থার লাইসেন্স নিয়ে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে ভারত ওই স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বানাবে বলেও জানানো হয়েছে ‘তাস’-এর প্রতিবেদনে। প্রসঙ্গত, ২০২১-এর ডিসেম্বরে ভারতীয় সেনার জন্য সীমিত সংখ্যায় ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হয়েছিল।

পাঁচ ফুটের সামান্য বেশি দৈর্ঘ্যের ইগলা-এসের পাল্লা ছ’কিলোমিটার। শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টার বা নীচু দিয়ে ওড়া যুদ্ধবিমানকে ‘থার্মাল সেন্সর’-এর সাহায্যে খুঁজে নিয়ে ধ্বংস করতে পারে এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এক জন মাত্র প্রশিক্ষিত সেনা কাঁধে তুলে ব্যবহার করতে পারে এটিকে। পাকিস্তান এবং চিন সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় প্রতিপক্ষের নজরদারি এবং ঘাতক ড্রোন নিশানা করতেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। ড্রোন হানাদারি রুখতে ইতিমধ্যেই পাক সীমান্তে নতুন করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জমানার বফর্স এল-৭০ বিমান বিধ্বংসী কামান মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা। দেশে উৎপাদন শুরু হলে তার জায়গা নিতে পারে ইগলা-এস।

Advertisement
আরও পড়ুন