রাতের অন্ধকারেও সফল ভাবে নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে অগ্নি-৩। ছবি: সংগৃহীত।
আরও এক বার সফল উৎক্ষেপণ হল পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম অগ্নি-৩ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের। বুধবার ওড়িশা উপকূলের এপিজে আবদুল কালাম আইল্যান্ড থেকে রুটিন পরীক্ষা হয় মাঝারি পাল্লার ভূমি-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রটির। ভারতীয় সেনার স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের পরিচালনায় নির্ভুল লক্ষ্যে অগ্নি-৩ আঘাত হেনেছে বলে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, ১৭ মিটার লম্বা, ২ মিটার ব্যাসের ভূমি থেকে ভূমি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি দেড় টন ওজনের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরত্বের কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এর আগে ছ’বারেরও বেশি অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড। এমনকি, রাতের অন্ধকারেও সফল ভাবে লক্ষ্যভেদে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। চিন এবং পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে অগ্নি-৩-এর পাল্লার আওতায়।
India carries out successful training launch of Intermediate Range Ballistic Missile, #Agni3 from APJ Abdul Kalam Island in #Odisha.
— PIB in Odisha (@PIBBhubaneswar) November 23, 2022
The successful test was part of routine user training launches carried out under the aegis of Strategic Forces Commandhttps://t.co/uVOLbZbGd7 pic.twitter.com/7RJ0HOry7A
ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ বা ডিআরডিও)-র তৈরি অগ্নি সিরিজের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র নব্বইয়ের দশকে ভারতীয় সেনার হাতে এসেছিল। এই সিরিজের সব চেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ (৫,০০০ কিলোমিটার পাল্লা)-এরও সফল পরীক্ষা করেছে ডিআরডিও। গত মাসে ওড়িশা উপকূলে নয়া সংস্করণ ‘অগ্নি প্রাইম’-এর নিক্ষেপের পরীক্ষা সফল হয়। ২,০০০ কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি প্রাইমের ওজন অগ্নি-৩-এর প্রায় অর্ধেক।