প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে স্ত্রীর জোরাজুরিতেই ভাড়া বাড়িতে উঠে এসেছিলেন শশধর হালদার নামে এক ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রে খবর, যা নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা লেগেই ছিল। শনিবার সকালে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয় নিজেদের ঘরে। মহিলার দেহ পড়েছিল খাটে। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন। আর শশধরের দেহ ঝুলছে সিলিং থেকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী।
শনিবার সোনারপুরের মথুরাপুরের একটি বাড়ি থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে স্বামী, স্ত্রীর কোনও সাড়াশব্দ পাননি প্রতিবেশীরা। বেশ কিছু ক্ষণ পরে তাঁদের আড়াই বছরের শিশু কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির বাইরে আসে। তাকে ওই অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পরে তাঁরা ঘরে ঢুকে স্বামী-স্ত্রীর দেহ দেখতে পান।
এলাকাবাসীর থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শশধর এবং তাঁর স্ত্রী পায়েলের বাড়ি কুলপি থানা এলাকায়। মাস কয়েক আগে মথুরাপুরে ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। শশধর ট্রেনে হকারি করেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বাড়িতে থাকা ফল কাটার ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে প্রথমে খুন করেন শশধর। তার পর আত্মঘাতী হন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাড়া বাড়িতে থাকা নিয়েই ওঁদের মধ্যে কোনও অশান্তি হয়ে থাকতে পারে। ডিএসপি (অপরাধ) ফয়জ়ল বিন আহমেদ জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পায়েল দাস নামে এক প্রতিবেশী জানান, শুক্রবার রাত থেকে শশধরদের বাড়িতে কোনও আওয়াজ পাওয়া যায়নি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে ঝামেলা হত। আবার মিটেও যেত। এমন ঘটনা ঘটবে তা আশা করেননি আর এক প্রতিবেশী সমর মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘‘দু’জনেই খুব মিশুকে ছিল। সকলের কথা বলত। কী ঘটল, বুঝতে পারছি না।’’