এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ফের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘটল দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটিতে। শনিবার দুপুরে উত্তর গোয়ায় নিজের হস্টেলের ঘরেই আত্মহত্যা করলেন ১৯ বছরের এক ছাত্রী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
উত্তর গোয়ায় হস্টেলের ঘর থেকে শনিবার ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম জীব্যা বিজয়কুমার (১৯)। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণী আইআইটি গোয়ার কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। শনিবার দুপুরে তাঁর রুমমেট কিছু ক্ষণের জন্য দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়েই ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন ওই ছাত্রী। ফিরে এসে ছাত্রীর রুমমেট দেখেন, দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে শেষমেশ নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকেন ওই পড়ুয়া। এর পরেই নিরাপত্তারক্ষীরা এসে ঘরের দরজা ভাঙেন। ঘরে ঢুকে দেখা যায়, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে ছাত্রীর দেহ। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, ওই ছাত্রী শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। এ ছাড়া, মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ওই ছাত্রী। তবে ঠিক কী কারণে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করলেন, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। সব দিক খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
প্রসঙ্গত, গত ২০ বছরে দেশের বিভিন্ন আইআইটিতে ১২০টিরও বেশি ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র চলতি বছরেই চার পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে আইআইটি গুয়াহাটিতে। আইআইটি কানপুরেও আত্মহত্যা করেছেন চার পড়ুয়া। সপ্তাহখানেক আগেই আইআইটি দিল্লিতে ২১ বছরের এক তরুণ আত্মহত্যা করেন। এ বার ছাত্রমৃত্যুতে নাম জড়াল আইআইটি গোয়ারও।