Meerut Murder Case

জেলে সেলাই শিখছেন মুস্কান, চাষবাস করবেন সাহিল! নেশার বায়না থেমেছে, কেমন আছেন?

মুস্কানদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। প্রথম দিকে মাদক না পেয়ে তাঁরা ছটফট করছিলেন। আপাতত সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১০:৫০
(বাঁ দিকে) মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত। সৌরভের স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী এবং তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্ল (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত। সৌরভের স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী এবং তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্ল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

জেলে ১০ দিন কেটে গিয়েছে মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে খুনে অভিযুক্ত মুস্কান রস্তোগী এবং তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্লের। এই ক’দিনে তাঁরা অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কারাবাসের প্রথম দিকে মাদকের জন্য তাঁরা ছটফট করছিলেন। সেই নেশার তাগিদ এখন কমেছে। দু’জনকেই নতুন কাজ দিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ। মুস্কানকে সেলাইয়ের কাজ দেওয়া হয়েছে। সাহিল করবেন সব্জি চাষ। ১ এপ্রিল থেকে তাঁদের এই কাজ শুরু হবে।

Advertisement

মুস্কানদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তাঁরা দু’জনেই মাদকে আসক্ত ছিলেন। জেলে মাদক না-পেয়ে তাই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মাদকের ইঞ্জেকশনের জন্য কান্নাকাটি করছিলেন মুস্কান। সাহিলও কারাকক্ষের ভিতর থেকে চিৎকার করতেন নিয়মিত। তাঁদের কড়া নজরে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, এই নেশা কাটতে কিছু দিন সময় লাগবে। মেরঠের চৌধরি চরণ সিংহ জেলা সংশোধনাগারের সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট বীরেশ রাজ শর্মা জানিয়েছেন, আগের চেয়ে মুস্কান এবং সাহিলের শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে তাঁরা স্বাভাবিক হচ্ছেন।

জেলে একসঙ্গে এক ব্যারাকে থাকতে চেয়েছিলেন সাহিল এবং মুস্কান। তাঁদের সেই আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। দু’জনে আপাতত আলাদা ব্যারাকেই রয়েছেন। নির্দিষ্ট সময় কারাবাসের পর কয়েদিদের কোনও না কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়। তাঁরা কী কাজ করতে চান, জানতে চাওয়া হয়েছিল মুস্কানদের কাছে। মুস্কান সেলাই শিখতে চেয়েছেন। সাহিলকে সব্জি চাষের কাজ দেওয়া হয়েছে।

মেরঠের ওই জেল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এলাকার সাংসদ অরুণ গোভিল। তিনি কয়েদিদের মধ্যে ১৫০০টি রামায়ণ গ্রন্থ বিলি করেছেন। মুস্কান এবং সাহিলও বিনা বাক্যব্যয়ে তাঁর হাত থেকে রামায়ণ নিয়েছেন। সাংসদ জানান, রামায়ণ গ্রহণের সময়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন মুস্কান। রামায়ণ পড়ে তাঁরা সুস্থ জীবনে ফিরতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সাংসদ।

সাহিলের সঙ্গে মিলে স্বামী সৌরভকে খুন করেন মুস্কান। তাঁর দেহ ১৫টি টুকরো করে কেটে ভরে দেন ড্রামে। সেই ড্রামের মুখ সিমেন্ট ঢেলে বন্ধও করে দিয়েছিলেন। তার পর শিমলায় বেড়াতে চলে গিয়েছিলেন যুগল। সেখান থেকে ফেরার পর তাঁদের কীর্তি প্রকাশ্যে আসে এবং পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে খুনের কথা তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন