—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কারও অমতে তাঁর ফোন-কথোপকথন রেকর্ড বা নথিবদ্ধ করা যায় না। একটি মামলার শুনানিতে স্পষ্ট ভাবে তা জানিয়ে দিল ছত্তীসগঢ় হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের কাজ সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গ করার শামিল।
খোরপোশ সংক্রান্ত একটি মামলায় স্ত্রীকে টাকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন স্বামী। স্বামীর যুক্তি ছিল যে, স্ত্রী তাঁকে ঠকিয়েছেন। তাই একটি পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্বামী জানান, স্ত্রীর বেশ কিছু ফোনকল তিনি রেকর্ড করেছেন। সেগুলি খতিয়ে দেখতে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চান তিনি। পারিবারিক আদালত তা মঞ্জুরও করে।
পারিবারিক আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে ছত্তীসগঢ় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন স্ত্রী। হাই কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানায়, “অনুমতি ছাড়াই স্ত্রীর ফোনকল রেকর্ড করেছেন স্বামী। এর ফলে দেশের সংবিধান এক জন ব্যক্তিকে যে গোপনীয়তার যে অধিকার দেয়, তা লঙ্ঘন করা হয়েছে।” পারিবারিক আদালতের নির্দেশকে খারিজও করে দেয় ছত্তীসগড় হাই কোর্টের বিচারপতি রাকেশমোহন পান্ডের একক বেঞ্চ।