Tripura

Tripura: দিদিকে প্রধানমন্ত্রী চাই! ত্রিপুরায় গান বাঁধলেন সিপিএমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেনের নাতি

১৯৭৮-৮৮, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নৃপেন। পঞ্চাশের দশকে তাঁকে কলকাতা থেকেই ত্রিপুরায় সংগঠনের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছিল সিপিএম।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২১ ১৯:৩৮
মমতার সমর্থনে গান-কবিতা ত্রিপুরার প্রয়াত সিপিএম নেতা নৃপেন চক্রবর্তীর নাতি সন্দীপের।

মমতার সমর্থনে গান-কবিতা ত্রিপুরার প্রয়াত সিপিএম নেতা নৃপেন চক্রবর্তীর নাতি সন্দীপের। ছবি: সংগৃহীত।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী চেয়ে গান বেঁধেছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছেন, ত্রিপুরায় আগামী বিধাননসভা ভোটে তৃণমূলের লড়াইয়ের ‘কান্ডারি’। তিনি সন্দীপ চক্রবর্তী। ত্রিপুরার প্রথম সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী, প্রয়াত নৃপেন চক্রবর্তীর নাতি!

সন্দীপের লেখা কবিতা আর গান ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে সে রাজ্যের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। ত্রিপুরায় বিজেপি-র অপশাসন এবং বাংলায় নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূলের বিপুল জয়ের কথাও এসেছে সেখানে। তৃণমূলের বাংলা জয়ের নেপথ্যে অভিষেকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা লিখেছেন তিনি।

সন্দীপের কথায়, ‘‘ত্রিপুরার মানুষ সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি-কে দেখে নিয়েছে। কেউ রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারেনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। তাই ত্রিপুরাবাসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন— পরের বার, মমতার সরকার।’’ তিনি নিজেও তৃণমূলের প্রচারে শামিল হতে চান বলে জানিয়েছেন সন্দীপ।

Advertisement

সন্দীপ পেশায় তিনি সরকারি কর্মী। তিনি নৃপেনের দাদার ছেলে। ১৯৭৮-৮৮, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নৃপেন। পঞ্চাশের দশকে তাঁকে কলকাতা থেকেই ত্রিপুরার সংগঠনের দায়িত্ব দিয়ে আগরতলায় পাঠিয়েছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ১৯৯৫ সালে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন নৃপেন। ২০০৪ সালে তাঁকে সিপিএমে ফেরানো হয়। তবে নৃপেন তখন মৃত্যুশয্যায়।

সম্প্রতি, তৃণমূলের মুখপত্রে উত্তর সম্পাদকীয় লেখার ‘অপরাধে’ প্রয়াত সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তাকে ছ’মাস সাসপেন্ড করেছে দল। দলীয় সদস্য না হওয়ায় সন্দীপের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক স্তরে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারবে না সিপিএম। কিন্তু প্রবাদপ্রতিম নেতার নাতির তৃণমূল-সংশ্রব দলের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করছে সিপিএমের একাংশ।

আরও পড়ুন
Advertisement