RSS

বিবাহ একমাত্র বিপরীত লিঙ্গেই সম্ভব, কেন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন জানাল সঙ্ঘ

সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক দত্তত্রেয় হোসবলে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কেন্দ্রের মতকেই সমর্থন করেন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:০৯
General Secretary of the Rashtriya Swayamsevak Sangh Dattatreya Hosabale says Sangh agrees with Centre on Same Sex Wedding view.

সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সঙ্ঘের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সাধারণ সম্পাদক দত্তত্রেয় হোসবলে। প্রতীকী ছবি।

সমলিঙ্গ বিবাহে কেন্দ্রীয় সরকারের মতকেই সমর্থন জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। এই বিবাহের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক দত্তত্রেয় হোসবলে এ বিষয়ে সঙ্ঘের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে হোসবলে বলেন, ‘‘শুধুমাত্র বিপরীত লিঙ্গের দু’টি মানুষের মধ্যেই বিবাহ হতে পারে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার যে দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছে, তার সঙ্গে আমরা সহমত।’’

Advertisement

২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ভারতে সমলিঙ্গ সম্পর্ক খাতায় কলমে আর ‘বেআইনি’ নয়। তবে সমলিঙ্গ বিবাহের কোনও আইনি স্বীকৃতি এখনও পর্যন্ত এ দেশে নেই। এই বিবাহে আপত্তি জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছিল কেন্দ্র। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলা পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। আগামী ১৮ এপ্রিল মামলাটির শুনানি হবে।

কেন্দ্রের হলফনামায় সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি স্বীকৃতির বিরোধিতা করে বলা হয়েছে, সমলিঙ্গ বিবাহ এবং অসমলিঙ্গ বিবাহের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। তাই দুটোকে এক ভাবে দেখা উচিত নয়। মোদী সরকারের দাবি, অসমলিঙ্গ বিবাহের ‘সামাজিক মূল্য’ রয়েছে। দেশ, সমাজের ‘উন্নতি’র জন্য বিপরীত লিঙ্গে বিবাহের স্বীকৃতির প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই।

সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি স্বীকৃতি চেয়ে একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছিল দেশের বিভিন্ন আদালতে। গত ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত সব মামলাকে একত্রিত করার নির্দেশ দেয়। তার পরেই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলাটি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠায়।

২০১৮ সালে সমকামিতা নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছিল, ভারতে সমকামিতা অপরাধ নয়। এই রায়ে ‘এলজিবিটিকিউ’ সম্প্রদায়ের মানুষদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হয়েছিল। সমাজে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে মনে করেন কেউ কেউ। ওই রায়ের পর থেকেই ভারতে সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি স্বীকৃতির দাবি আরও জোরালো হয়েছে। দেশে সমলিঙ্গে বিবাহও হয়েছে এর আগে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement