সিকিমের নাথু লায় তুষারাবৃত রাস্তা। এ বার থেকে পর্যটকদের এই পথে ঘোরানোর গাড়িতে অবশ্যই রাখতে হবে বেলচা এবং শিকল। — ফাইল চিত্র।
সিকিমে পর্যটকদের ঘোরানোর জন্য গাড়িগুলির জন্য আরও কড়াকড়ি চালু করল পুলিশ। শীতের মরসুমে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই আরও সতর্ক গ্যাংটক পুলিশ। পর্যটকদের ঘোরানোর গাড়িতে অবশ্যই থাকতে হবে বরফ সরানোর সামগ্রী। তুষারাবৃত পথে গাড়ি যাতে নিরাপদে থাকে, সে জন্য চাকার সঙ্গে শিকল বাঁধার ব্যবস্থাও রাখতে হবে। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে গ্যাংটক পুলিশ।
সিকিমে ঘুরতে গিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মাঝেমধ্যেই পর্যটকেরা আটকে পড়েন। সিকিমের তুষারাবৃত রাস্তাতেও অনেক সময় পর্যটকদের নিয়ে আটকে যায় গাড়ি। পরে তাঁদের উদ্ধার করতে আসরে নামতে হয় সেনাকে। এমন ঘটনা অতীতে বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে। এখন শীতের মরসুমে সিকিমের পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। কোনও ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তাই আগাম সতর্ক গ্যাংটক পুলিশও।
এ বার থেকে পর্যটকদের ঘোরানোর জন্য গাড়িতে অবশ্যই রাখতে হবে বেলচা। যাতে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রাস্তায় জমে থাকা তুষার সরাতে সমস্যা না হয়। শীতের মরসুমে অনেক সময়েই রাস্তার উপর তুষার জমে পথকে পিচ্ছিল করে তোলে। সেই রাস্তায় গাড়ি চালানো বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এই ধরনের রাস্তায় গাড়ি পিছলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। অনেক ক্ষেত্রে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে দুর্ঘটনাও ঘটে যায়। তাই এ বার থেকে পর্যটকদের নিয়ে ঘোরার জন্য গাড়িতে বাধ্যতামূলক ভাবে চাকায় বাঁধার শিকল রাখতে হবে। তুষারাবৃত রাস্তায় গাড়ির চাকার সঙ্গে শিকল বাঁধা থাকলে সেটি পিছলে যাওয়ার ভয় অনেকটা কমানো যায়।
নাথু লা যাওয়ার পথে প্রতিটি গাড়ি নিয়ম মানছে কি না, তা যাচাই করা হবে শেরথাং চেক পোস্টে। পাশাপাশি গাড়িগুলি নাথু লার দিকে কখন যাচ্ছে, কখন ফিরছে, সেই নিয়মেও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। পর্যটকদের ঘোরানোর জন্য সমস্ত গাড়িকে সকাল সাড়ে ১০টার আগে তিন মাইল চেক পোস্ট পার করতে হবে এবং বিকেল ৫টার মধ্যে আবার ফিরে আসতে হবে।