— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দুই শিশু-সহ একই পরিবারের চার জনের রহস্যমৃত্যু মহারাষ্ট্রে। তিন দিন পর দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হল পচাগলা দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার প্রমোদনগর এলাকায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।
মৃতেরা হলেন প্রবীণ গিরসে, তাঁর স্ত্রী গীতা এবং দুই সন্তান মিতেশ ও সোহম। প্রমোদনগরের ওই বাড়িতেই থাকতেন তাঁরা। সুখী, সচ্ছল পরিবার ছিল। প্রবীণ রাসায়নিক সার বিক্রি করতেন। গীতা পেশায় ছিলেন শিক্ষক। কী কারণে ওই পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নিল, ভেবে কূল পাচ্ছেন না প্রতিবেশীরা।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, গত তিন-চার দিন যাবৎ বন্ধই ছিল ওই বাড়ির দরজা। এমনকি গৃহপরিচারিকাও মাঝে দু’দিন এসে সাড়াশব্দ না পেয়ে ফিরে যান। চার দিন পর ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসতে শুরু করলে প্রতিবেশীরা প্রবীণের বোনকে খবর দেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে প্রমোদনগরের ওই বাড়িতে আসেন তাঁরা। অনেক ক্ষণ ডাকাডাকির পর শেষমেশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেই প্রবীণের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। মাটিতে পড়ে ছিল তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের পচাগলা দেহ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেওপুর থানার পুলিশ। চারটি মরদেহই জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের অনুমান, তিন থেকে চার দিন আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, প্রবীণের আত্মহত্যার পর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন গীতা ও তাঁর দুই সন্তান। তবে কেন একই পরিবারের চার জন এক সঙ্গে আত্মহত্যা করলেন, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ।