কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার চ্যালেঞ্জ হতে পারে গোহত্যা প্রতিরোধ আইন প্রত্যাহার। ফাইল চিত্র।
জবাই করার জন্য গরু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রবিবার রাতে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায়। তার পরেই কয়েকটি সংগঠনের তরফে সে রাজ্যের নয়া কংগ্রেস সরকারের কাছে ২০২০ সালের গোহত্যা প্রতিরোধ আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সরকার মঙ্গলবার গোহত্যা প্রতিরোধ আইন পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছে। কর্নাটকের পশুপালন মন্ত্রী কে বেঙ্কটেশের সোমবার বলেন, ‘‘যদি মহিষ জবাই করা যায় তা হলে গরুতে বাধা কোথায়?’’ তাঁর ওই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, পূর্বতন বিজেপি সরকারের আমলে চালু করা ‘কর্নাটক প্রিভেনশন অফ স্লটার অ্যান্ড প্রিজারভেশন অফ ক্যাটেল অ্যাক্ট-২০২০’ প্রত্যাহারের পথে এগোতে গেলে রাজনৈতিক বাধার মুখে পড়তে হবে সিদ্দারামাইয়া সরকারকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ কন্নড় জেলার আম্বলামোগারু গ্রামের ১ মহিলার কাছ থেকে কয়েকটি গরু কিনেছিলেন ধৃত ৪ ব্যক্তি, আহমেদ এরশাদ, বিএম খালিদ, জাফর সাদিক এবং ফয়াজ। এর পর সেগুলিকে জবাই করার জন্য ওই জেলারই উল্লাল ব্লকের আলেকালাতে ১টি মিনি ট্রাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
কিন্তু পথে গাড়িটি খারাপ হয়ে যায়। সে সময়ই স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের নজরে পড়ে ‘ত্রিপল ঢাকা’ গরুগুলি। আটক করার পর ধৃতেরা জেরার মুখে গরু পাচারের উদ্দেশ্য কবুল করেছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ধৃতদের মধ্যে খালিদ কেরলের কাসরগড়ের বাসিন্দা। বাকি ৩ জন দক্ষিণ কন্নড়ের।