মোদী-ট্রাম্প মৈত্রীর সেই পরিচিত ছবি। ফাইল চিত্র।
পাশাপাশি হাতে হাত ধরে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন দু’জন। বক্তৃতায় ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন পরস্পরকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মৈত্রীর এমন ‘নির্দশন’ দেখা গিয়েছে অনেক বারই। ভোটে হেরে হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও মোদীর প্রশংসক রয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, ‘‘মোদী এক জন অসাধারণ মানুষ। তিনি দারুণ কাজও করছেন। আমার মনে হয়, ২০২৪ সালেও উনিই ফের দায়িত্ব (প্রধানমন্ত্রিত্বের) পাবেন।’’
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে পূর্বসূরি বারাক ওবামা কিংবা উত্তরসূরি জো বাইডেনের তুলনায় তাঁর জমানায় নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক উষ্ণতর ছিল কি না জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প বলেন, ‘‘এ প্রশ্ন মোদীকে করা যেতে পারে। তবে আমার মনে হয় না, আমার সময়ের চেয়ে ভাল মৈত্রীর সম্পর্ক ভারত আর পাবে।’’ মোদীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়নও অত্যন্ত ভাল ছিল বলে দাবি করেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘আমার বন্ধু মোদী ভারতবাসীর কল্যাণে কাজ নিরলস ভাবে করে চলেছেন।’’
প্রসঙ্গত, মোদী-ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়ন অতীতে একাধিক বার দেখা গিয়েছে। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে টেক্সাসের হিউস্টনে ‘হাউডি মোদী’ সভায় প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও প্রবাসী ভারতীয়ের সামনে কূটনীতির বেড়া টপকে ‘অব কি বার ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘‘ট্রাম্পের নেতৃত্বগুণ, আমেরিকাকে নিয়ে ওঁর আবেগ, দেশের নাগরিকদের জন্য ওঁর উদ্বেগ এবং আমেরিকাকে ফের মহান করে তোলার জন্য ওঁর মনের তাগিদ আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’’
এর পর ২০২০-র গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত সফরে এসে গুজরাতের আমদাবাদে পুনর্নির্মিত মোতেরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম (সর্দার পটেল স্টেডিয়াম) উদ্বোধনে গিয়েছিলেন ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতে মোদী দাবি করেছিলেন, তিনি এবং ট্রাম্প মিলে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবেন। সেখানে শোনা গিয়েছিল ‘নমস্তে ট্রাম্প’ স্লোগানও। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভিডিয়ো প্রচারে মোদীর সেই বক্তৃতার ক্লিপিংসও ব্যবহার করেছিলেন ট্রাম্প। যদিও ভোটের ফল সামনে আসায় জানা যায়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও প্রবাসী ভারতীয় ভোটারদের অধিকাংশেরই সমর্থন গিয়েছে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের ঝুলিতে।