শিবরাজ সিংহ চৌহান (বাঁ দিকে) এবং জেপি নড্ডা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়েও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে ভোপালের কুর্সি থেকে সরতে হয়েছে তাঁকে। শিবরাজ সিংহ চৌহানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করলেন শিবরাজ। দলের অন্দরে জল্পনা, লোকসভা ভোটের আগে মধ্যপ্রদেশের সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় স্তরে ‘বড় দায়িত্ব’ দেওয়া হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশে এ বারের বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপুল জয়ের নেপথ্যে শিবরাজের ‘লাডলি বহেনা যোজনা’র অবদান সবচেয়ে বেশি বলে ভোটপণ্ডিতদের একাংশের ধারণা। চার মাস আগে দলের পরিস্থিতি বেকায়দায় দেখে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভান্ডারের ধাঁচে ওই যোজনা শুরু করেন শিবরাজ। প্রথম দু’মাসে ১,০০০ এবং পরের দু’মাসে মহিলাদের হাতে হাতে পৌঁছে যায় ১২৫০ টাকা করে। সঙ্গে প্রতিশ্রুতি, ভোটে বিজেপি জিতলে ওই টাকা বাড়িয়ে ৩,০০০ করা হবে।
বিজেপি নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, শেষ সময়ে খেলা ঘুরিয়েছে ওই প্রকল্পই। যে কারণে মধ্যপ্রদেশের ‘অর্ধেক আকাশ’ কার্যত একজোট হয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। যদিও ভোটের প্রচার পর্বে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা তেমন গুরুত্ব দেননি ‘মামা’ (এই নামেই পরিচিত শিবরাজ)-কে। তবে ‘লাডলি বহেন যোজনা’র কল্যাণে বিজেপির মসনদ দখল নিশ্চিত করলেও শিবরাজ নিজের কুর্সি পাকা করতে পারেননি। গত ১১ ডিসেম্বর রাজধানী ভোপালে বিজেপির নবনির্বাচিত বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকেরা পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মোহন যাদবের নাম ঘোষণা করেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, মোদী-শাহদের ‘সুনজরে’ না থাকায় আগামী দিনে শিবরাজ এবং রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে কার্যত ‘বানপ্রস্থে’ পাঠানো হবে। যেমনটা অতীতে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ বা হালফিলে কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার ক্ষেত্রে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নড্ডা গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেবে দল। শিবরাজকে দিয়েই সূচনা হল সেই প্রক্রিয়ার?