প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ফোন থেকে প্রেমিকার নম্বর ‘চুরি’ করেছিলেন বন্ধু। শুধু তা-ই নয়, প্রেমিকার সঙ্গে কথাবার্তাও শুরু করেছিলেন! যা মেনে নিতে পারেননি বিশাল গোলদার। রাগে বন্ধুকেই খুন করলেন তিনি। গ্রেফতারির পর পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করলেন বিশাল।
গত ১৬ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির পাদুয়া থানা এলাকার এক জঙ্গল থেকে গৌতম মণ্ডল নামে এক বছর কুড়ির তরুণের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ২২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এলাকার বাঙালি কলোনিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন গৌতম। তাঁর বাবা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল পেশায় এক জন শ্রমিক। তাঁর অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে গৌতমের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে এক জঙ্গল এলাকায় গৌতমের দেহ পড়ে ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গৌতমের বোন আশা দাদার দেহ চিনতে পারেন। তার পর পুলিশকে তা জানান।
বিশালের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছিলেন গৌতমের বাবা। সেই অভিযোগ পেয়ে বিশালকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। জেরার মুখে বন্ধুকে খুনের কথা স্বীকার করেন বিশাল। কেন তাঁকে খুন করলেন তা-ও জানিয়েছেন পুলিশকে। বিশাল জানান, উত্তরাখণ্ডের এক মেয়ের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল তাঁর। কথাবার্তা বলতে বলতে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দু’জন দু’জনের প্রেমে পড়েন। ফোনেও কথা হত দু’জনের। পরে বিশাল জানতে পারেন, গৌতম তাঁর মোবাইল থেকে প্রেমিকার ফোন নম্বর চুরি করেছেন। কথা বলছেন তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে।
সেই সন্দেহে এক দিন গৌতমের অলক্ষ্যে তাঁর মোবাইল যাচাই করেন বিশাল। দেখেন গৌতমের ফোনে তাঁর প্রেমিকার নম্বর রয়েছে। যা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা হয়। গত ২৫ নভেম্বর বিশাল বন্ধুকে নিয়ে বার হন। কিন্তু তার পর আর বাড়ি ফেরেননি গৌতম। বিশাল জানিয়েছেন, দুই বন্ধু মিলে সে দিন মদ্যপান করেছিলেন। গৌতম অনেকটা পরিমাণ মদ খেয়ে ফেলেন। যখন তিনি নেশায় প্রায় বেহুঁশ হয়ে পড়েন তাঁর মদের গ্লাসে কীটনাশক মিশিয়ে দেন বিশাল। সেই মদ খেয়েই মৃত্যু হয় গৌতমের। তার পর তাঁর দেহ নিয়ে গিয়ে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দিয়ে আসেন অভিযুক্ত। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে তারা।