‘বহেনাদের’ কান্না দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিবরাজ সিংহ চৌহান। ছবি: পিটিআই।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে মঙ্গলবারই ছিল তাঁর শেষ দিন। সেই উপলক্ষে শিবরাজ সিংহ চৌহানের জন্য বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল তাঁর সরকারি বাসভবনে। সচিবালয়ের কর্মীদের পাশাপাশি সেখানে হাজির হয়েছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় লাডলি বহেনাদের অনেকেই। তাঁদেরই একাংশকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল।
‘বহেনাদের’ কান্না দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিবরাজও। তাঁদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘‘আমি কোথাও চলে যাচ্ছি না। আপনাদের জন্যই কাজ করে যাব।’’ মধ্যপ্রদেশ থেকে সরিয়ে তাঁকে দিল্লিতে ‘বড় দায়িত্ব’ দেওয়া হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশে। কিন্তু তা উড়িয়ে লাডলি বহেনাদের উদ্দেশে শিবরাজ বলেন, ‘‘আমি কেন দিল্লিতে যেতে যাব?’’ তিনি মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও ওই সরকারি কর্মসূচি বহাল থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন শিবরাজ।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে এ বারের বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপুল জয়ের নেপথ্যে শিবরাজের ‘লাডলি বহেনা যোজনা’র অবদান সবচেয়ে বেশি বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশের ধারণা। চার মাস আগে দলের পরিস্থিতি বেকায়দায় দেখে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভান্ডারের ধাঁচে ওই যোজনা শুরু করেন শিবরাজ। প্রথম দু’মাসে ১,০০০ এবং পরের দু’মাসে মহিলাদের হাতে হাতে পৌঁছে যায় ১২৫০ টাকা করে। সঙ্গে প্রতিশ্রুতি, ভোটে বিজেপি জিতলে ওই টাকা বাড়িয়ে ৩,০০০ করা হবে।
বিজেপি নেতারা মনে করছেন, শেষ সময়ে খেলা ঘুরিয়েছে ওই প্রকল্পই। যে কারণে মধ্যপ্রদেশের অর্ধেক আকাশ একজোট হয়ে বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছে। ওই যোজনার কল্যাণে বিজেপির মসনদ দখল নিশ্চিত করলেও শিবরাজ নিজের কুর্সি পাকা করতে পারেননি। সোমবার রাজধানী ভোপালে বিজেপির নবনির্বাচিত বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকেরা পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মোহন যাদবের নাম ঘোষণা করেন।